পানির নিচে রহস্য





মানুষ তো জন্মগতভাবে সুন্দরের পূজারি আর তার সঙ্গে যদি থাকে রহস্য, তাহলে তো কথাই নেই। মানুষ সৌর্ন্দয আর রহস্য দুটোই ভালোবাসে। পানির নিচের রহস্য নিয়ে মানুষের মনে আগ্রহের কমতি নেই। কোন কোন প্রাণী বাস করে, কী কী আছে ওখানে? আরো কত কি? ভেবে দেখুন তো, যদি একটি শহরই খুঁজে পান এ পানির ভেতর, কী রকম বিস্ময় আর আগ্রহ তৈরি হবে। মানুষের তিলে তিলে গড়ে তোলা কিছু সুন্দর শহরই এখন পানির নিচে আরো সৌন্দর্যবর্ধন করে চলেছে। আকর্ষণ কেড়ে নিয়েছে মানুষের

জাপানের ইয়োনাগুনি স্তম্ভ                                                        
বিশেষজ্ঞদের মনে এখনো প্রশ্ন আছে, ইয়োনাগুনি স্তম্ভটি কি মানুষের তৈরি, নাকি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এ শক্তিশালী স্তম্ভের পিরামিডটি মনুষ্য সৃষ্ট, এটা বিশ্বাস করতেও কষ্ট হচ্ছে অনেকের। পানির নিচে প্রায় ২৫০ ফুট নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এটি। যদি এটি সত্যিই মনুষ্য সৃষ্ট হয়, তাহলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা, খ্রিস্টের জন্মেরও প্রায় ১০ হাজার বছর আগে তৈরি এ ইয়োনাগুনি।




ভারতের দেবভূমি দ্বারকা
ভারতের সপ্তম পুরনো শহর দ্বারকা। ইতিহাস বলছে, কৃষ্ণর এ শহরে ৭০ হাজার রাজপ্রাসাদ ছিল, যা তৈরি করা হয়েছিল স্বর্ণ ও অন্যান্য মূল্যবান ধাতু দিয়ে। শহরটি যেমন ছিল মূল্যবান, তেমনি রহস্যজনক শহরই মনে করা হতো। কৃষ্ণর মৃত্যুর পর শহরটি সমুদ্রে ডুবে যায়। সমুদ্রের প্রায় ১৩১ ফুট নিচে অবস্থান করছে এটি। যদিও অনেক ভিন্নমত আছে, তবুও মনে করা হয়, খ্রিস্টের জন্মেরও প্রায় ৭ হাজার ৫০০ বছর পুরনো এ শহর।

চীনের লায়ন সিটি
চীনের ঝ্যাঝাং প্রদেশে অবস্থিত কিয়ানডাও লেকের লায়ন সিটিকে বলা হয় সবচেয়ে দর্শনীয় ও মনোমুগ্ধকর ডুবন্ত শহর। প্রায় ৬২টি ফুটবল মাঠের আয়তন এ শহরটির। খুব বেশি আগে নয়, ১৯৫০-এ ডুবে যায় এ গোছানো শহরটি। বর্তমানে এটি চায়নার অন্যতম ট্যুরিস্ট আকর্ষণ।

ক্লিওপেট্রার রাজপ্রাসাদ
সুন্দরের প্রতীক ক্লিওপেট্রাকে কে না চেনে? ধারণা করা হয়, মিসরে ক্লিওপেট্রার সেই রাজপ্রাসাদটি ১ হাজার ৫০০ বছরেরও আগে ভূমিকম্পে নিমজ্জিত হয়ে গেছে পানির নিচে; যার প্রায় ১৪০টি শিল্প নিদর্শন এখনো অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, এর ভেতরে একটি মিউজিয়ামও রয়েছে। আশাবাদ ব্যক্ত করা হচ্ছে, হয়তো ট্যুরিস্টদের জন্য এটি উন্মুক্ত করে দেয়া হবে এবং কাছ থেকে দেখার সুযোগ পাবে আগ্রহীরা।

জ্যামাইকার পোর্ট রয়েল

পৃথিবীর সবচেয়ে পাপময় কিংবা সিনফুল শহর হিসেবেই পরিচিত ছিল পোর্ট রয়েল। নাইট ক্লাব আর খোলামেলা রাতের পার্টির শহর হিসেবেই পরিচিত ছিল এটিপরে ১৬৯২ সালে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পে পানির নিচে তলিয়ে যায় এ পোর্ট রয়েল। দুর্বল ফাউন্ডেশনের কারণে প্রায় দুই হাজার মানুষের মৃত্যুও ঘটে তত্ক্ষণাত্। তবে এটা কি শুধুই ভূমিকম্প, নাকি সব পাপের ফল, এটা নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন ছিল ১০০ বছরের ওপর। এ অপরিচিত পাপের শহরটি এখন কিন্তু বেশ বিখ্যাত। প্রায় ৪০ ফুট পানির নিচে এখন এর অবস্থান।




মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গুরুত্বপুর্ন মৌলের নাম, প্রতীক, যোজনী, পারমাণবিক সংখ্যা ও আপেক্ষিক ভর

রক্ত কণিকার কাজ কী

তাপহারী বিক্রিয়া কাকে বলে,