পোস্টগুলি

মার্চ, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

স্থির তড়িৎ (Electrostatics) এর গুরুত্বপুর্ন কিছু বিষয়

ছবি
বিন্দু চার্জঃ চার্জিত বা আহিত বস্তুর আকার যখন খুবই ক্ষুদ্র হয় তখন ঐ বস্তুর চার্জকে বিন্দু চার্জ বলে। কুলম্বের সুত্রঃ একটি নির্দিষ্ট মাধ্যমে দুটি বিন্দু চার্জের মধ্যে ক্রিয়াশীল আকর্ষন বা বিকর্ষন বলের মান চার্জদ্বয়ের গুণফলের সমানুপাতিক, চার্জ দুটির মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের ব্যাস্তানুপাতিক এবং এই বল চার্জদ্বয়ের সংযোজক সরল রেখা বরাবর ক্রিয়া করে। 1C চার্জঃ সমধর্মী এবং সমান মানের দুটি চার্জকে শূন্য মাধ্যমে পরস্পর থেকে 1m দূরত্বে স্থাপন করলে এদের মধ্যে বিকর্ষন বলের মান যদি 9*10 9 N হয় তবে ঐ চার্জ দুটির প্রত্যেকটিকে একক চার্জ বা 1C চার্জ বলে। চার্জের নিত্যতাঃ চার্জের সৃষ্টি বা ধ্বংস নেই। চার্জের স্থানান্তর আছে;  যেমন- কাচ দন্ডকে রেশমি কাপড় দিয়ে ঘষলে কাচদন্ড থেকে যে পরিমান ঋণাত্মক চার্জ স্থানান্তরিত হয় রেশমি কাপড়ে ঠিক সেই পরিমাণ ঋণাত্মক চার্জের আবির্ভাব হয়। তড়িৎ মাধ্যমাঙ্ক বা পরা বৈদ্যুতিক ধ্রুবকঃ   দুটি তড়িৎ চার্জের মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্বে শূন্যস্থানে ক্রিয়াশীল বল এবং ঐ দুটি চার্জের মধ্যে একই দূরত্বে অন্য কোনো মাধ্যমে ক্রিয়াশীল বলের অনুপাত একটি ধ্রুব সংখ্যা। এই ধ্রুব সংখ্যাকে ঐ ম

বিয়ার গ্রিলস এর সফলতার কাহিনী

ছবি
ছেলেটির যখন ৮ বছর বয়স তখন তার বাবা তাকে মাউন্ট এভারেস্ট এর ছবি দেখিয়ে বলেছিলেন, তুমি কি পারবে এর চূড়ায় উঠতে? বুঝেই হোক আর না বুঝেই হোক ছেলেটি দৃঢ়স্বরে সেদিন বলেছিল, পারবো। মনের আশাকে বাস্তবে রূপ দেয়ার জন্য স্কুল জীবন শেষ হতেই ইন্ডিয়ান আর্মির সিকিম ডিভিশনে ভর্তি হওয়ার মনস্থির করলো ছেলেটি, যাতে হিমালয় কে আরো কাছে থেকে জানা যায়। কিন্তু বিভিন্ন কারণে আর ভর্তি হওয়া হয়নি ছেলেটির। হতাশা চেপে রেখে কিছুদিন পর বৃটিশ আর্মির এয়ার ডিভিশনে কাজে যোগ দিলো সে। আর মনে মনে স্বপ্নের বীজ বুনতে থাকলো হিমালয়ের সবচেয়ে বড় পর্বতশৃঙ্গ এভারেস্টের চূড়াকে নিয়ে। এর মাঝেই জাম্বিয়াতে ফ্রি ফল প্যারাশুটিং করতে গিয়ে মারাত্নক ভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয় ছেলেটি। ভেঙে যায় শিরদাঁড়ার তিনটি কশেরুকা। ডাক্তাররা দেখে শুনে বলে দেয় আর কোনদিন হাঁটতে পারবেনা ছেলেটি। আর্মির চাকরিটিও ছেড়ে দিতে হয় তাকে। কিন্তু মনের পুরনো আশাকে পুঁজি করে ছেলেটি চেষ্টা করতে থাকে হাঁটবার। আর ডাক্তারের সব কথা মিথ্যা প্রমাণ করে মাত্র এক বছরের মাথায় ছেলেটি আবার হাঁটতে শুরু করে। আর তারো ছয়মাস পর ছেলেটি তার আজীবনের স্বপ্ন এভারেস্টের চূড়ায় উঠে সবচেয়ে কম বয়সে (২৩)

প্রকৃত বন্ধুত্ব

ছবি
:) প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলছে। হঠাৎ এক পশলা গুলি ছুটে এল শত্রুপক্ষের দিক থেকে। এক সৈন্য কোন ভাবে লুকিয়ে পড়তে পারলেও কিছুটা দূরে থাকা তার বন্ধুর লুকিয়ে পড়া সম্ভব ছিল না। তাকে পড়ে যেতে দেখে ভয়ের শীতল স্রোত বয়ে গেল তার ভেতর। সে তার লেফটেন্যান্টের কাছে অনুমতি চাইল, তার বন্ধু সৈন্যেটির কাছে ফিরে যাওয়ার এবং তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য। লেফটেন্যান্ট বললো, “তুমি যেতে পার। কিন্তু আমি মনে করি না এটা উচিত হবে কারন তোমার বন্ধু খুব সম্ভবত গুলি খেয়ে মারা গেছে এবং ওখানে গিয়ে তুমি নিজের জীবনকেও ঝুঁকির মুখে ফেলে দেবে” সৈন্যটি এই উপদেশ শুনেও তার বন্ধুর কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। অনেকটা অলৌকিকভাবে সে শত্রুপক্ষের গুলি এড়িয়ে তার বন্ধুর কাছে পৌছে গেল এবং তাকে কাঁধে তুলে নিয়ে ফিরে আসতে সক্ষম হল। যখন সে ফিরে এল, তখন অফিসার তার বন্ধুকে পরীক্ষা করল এবং দুঃখ ভারাক্রান্ত কন্ঠে বলল, “আমি বলেছিলাম, তোমার ওখানে যাওয়া উচিত হবে না। তোমার বন্ধুটি মারা গেছে এবং তুমি নিজেও কিছুটা আহত হয়েছ।” সৈনিকটি বলল, “আমার যাওয়া অর্থহীন ছিল না স্যার!” “কিন্তু তোমার বন্ধুটি মারা গেছে। তুমি কিভাবে এটা বল যে, তোমা

নেলসন ম্যান্ডেলা

ছবি
আফ্রিকার গ্রামগুলোতে যে শিশুরা জন্মগ্রহন করে মাত্র পাঁচ বছর বয়সে তাদের রাখালের দায়িত্ব নিতে হয়। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়টা তাদের কাটে ভেড়া আর গরুর পেছনে। সময়টা তারা কাটায় খেলাধূলা করে, নদীতে সাঁতার কেটে, মাছ ধরে, পাহাড়ের উঠে, কোনো গাছের ডালে মৌচাক ভেঙ্গে অথবা নিজেরা নিজেরা মারামারি করে! এমনই এক শিশুর দল একদিন দুপুরে একটা মজার খেলা বের করলো। খেলাটা হলো একটা গাধার পিঠে উঠতে হবে এবং তাকে গোটা মাঠ কোনা ঘেষে ঘুরিয়ে আনতে হবে। একে একে সবাই গাধার পিঠে উঠলো । সবশেষ ছেলেটা গাধার পিঠে উঠেই গাধাকে আঘাত করলো সামনে এগোবার জন্য। গাধাটা এত পরিশ্রমের কারনে বিরক্ত আর ক্লান্ত হয়ে পরেছিল বোধহয়। সে এদিক ওদিক যেতে লাগলো আর শেষে একটা কাঁটার ঝোপে গিয়ে ছেলেটিকে ফেলেই দিলো। হাতে পিঠে মুখে কাঁটার দাগ নিয়ে ছেলেটা যখন উঠে দাড়ালো তখন তার লজ্জার সীমা রইলো না। অন্যান্য ছেলেরা তাকে দেখে হাসতেই লাগলো। আফ্রিকানদের আত্মসম্মান বোধ প্রচুর। গাধার পিঠ থেকে বন্ধুদের সামনে পড়ে যাওয়াটা আসলেই ভীষন লজ্জার ব্যাপার। এই লজ্জার কাছে হাত পায়ে পাওয়া আঘাতও কিছুই না। অনেক বছর পর ছেলেটা তার জীবনীতে ঘটণাটা শেয়ার করলো। লিখেল

একটি সফলতার কাহিনী

ছবি
বিশ্ববিখ্যাত হোন্ডা মটরস এর প্রতিষ্ঠাতা সইচিরো হোন্ডা। পেশা জীবনের শুরুতে টয়োটা কোম্পানিতে চাকরির চেষ্টা চালিয়ে ব্যার্থ হন। সময়টাও চাকরীর জন্য বৈরী ছিল বৈকি। জাপান তখন সবে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে বিধ্বস্ত এক দেশ। কিন্তু দমে যাওয়ার পাত্র ছিলেন না হোন্ডা। নিজের গ্যারেজেই বসে বানাতে চেষ্টা করেন স্কুটার। তার উদ্ভাবিত স্কুটার খুব দ্রুত প্রতিবেশীদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয় ও আস্তে আস্তে তা বিক্রি হতে থাকে। হোন্ডা তার উদ্ভাবনের সম্ভাব্য বাজারের কথা চিন্তা করে নিজেই প্রতিষ্ঠা করেন এক কোম্পানি। শ্রম ও একনিষ্ঠতার বদৌলতে এই কোম্পানিই পরবর্তীতে হয়ে ওঠে বিশ্ববিখ্যাত হোন্ডা কোম্পানি। বিজয়ীরা কখনো হার মানে না। সাফল্য তার কাছেই ধরা দেয় যে হার মানতে নারাজ। তাই তো পৃথিবীতে জয়ীর সংখ্যা কম, পরাজিতর সংখ্যা অনেক বেশি। নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনি কোনটি হতে চান?

এক স্কুল বালকের গল্প

ছবি
মিশিগানের এক স্কুল থেকে একটা বাচ্চাকে বের করে দেয়া হলো। বাচ্চার মাকে ডেকে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানালো যে, আপনার টমি এতই বোকা যে, ওকে শিক্ষিত করে তোলা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়! টমির মা বলল, মোটেই আমার টমি বোকা নয়, আমিই টমিকে পড়া শেখাবো। টমির স্কুলে পড়ার সৌভাগ্য হয়েছিল মাত্র তিন মাস। আমাদের ভাষায় সোজা বাংলায় যেটাকে বলা যায় অশিক্ষিত/মুর্খ। এই বোকা টমি পরবর্তিতে পৃথিবীর ইতিহাস বদলে দিয়েছিল। কয়েকশত নতুন জিনিস আবিষ্কারের জনক সেই বোকা টমি। পৃথিবীর সর্বকালের অন্যতম সেরা বিজ্ঞানী টমাস আলভা এডিসন। এমন ভুরি ভুরি উদাহরন আমাদের আশে- পাশেই আছে। একটা দেশ বা দল যখন যুদ্ধে জয়ী হয় তখন কিন্তু তাদের ছোট ছোট পরাজয়ও থাকে। যেমন- অনেক সৈন্য মারা যায়, আহত হয়। কিন্তু চূড়ান্ত ভাবে তারা জয়ী হয়। তেমনি জীবনটা যুদ্ধের মতো। ছোট ছোট পরাজয় থাকবেই। এই ছোট ছোট পরাজয় ডিঙ্গিয়ে আমাদেরকে জয়ী হতে হবে।

কৃষক ও গাধার উপদেশ মূলক গল্প

ছবি
একদিন এক কৃষকের গাধা গভীর কুয়ায় পড়ে গেলো। গাধাটা করুণ সুরে কেঁদে কৃষকের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালাতে লাগলো। কৃষক ভাবলো যেহেতু গাধাটা বৃদ্ধ হয়ে গেছে, কাজেই একে উদ্ধারের ঝামেলায় না গিয়ে মাটি ফেলে কুয়ার মাঝেই কবর দিয়ে ফেললেই ল্যাঠা চুকে যায়। কাজেই কৃষক শাবল দিয়ে মাটি ফেলতে লাগলো গাধার উপর। প্রথমে গাধা ঘটনা আঁচ করতে পেরে চিৎকার করে গলা ফাঁটিয়ে কাঁদতে লাগলো। কিন্তু কিছুক্ষণ পর সব শান্ত হয়ে গেলো। কৃষক এই নিরবতার কারণ উদঘাটন করতে গিয়ে কুয়ার ভিতর উঁকি দিয়ে অবাক হয়ে গেলো। প্রতিবার যেই গাধাটার উপর মাটি ফেলা হয়েছে, সে তা পিঠ ঝাড়া দিয়ে ফেলে দিয়ে সেই মাটিকে ধাপ বানিয়ে একধাপ একধাপ করে বেশ খানিকটা উপরে উঠে এসেছে। এটা দেখে কৃষক আরো মাটি ফেললো এবং পরিশেষে গাধাটা বের হয়ে আসলো কুয়া থেকে। উপদেশঃ- জীবন আপনার উপর শাবল ভর্তি মাটি ফেলবে এটাই স্বাভাবিক। আপনার কাজ হচ্ছে সেই চাপা দেয়ার মাটিকেই কাজে লাগিয়ে উপরে উঠা। প্রতিটি সমস্যাই আসলে সমাধানের একটি করে ধাপ, যদি আপনি তা কাজে লাগানোর মতো ইতিবাচক হয়ে থাকেন। যেকোন সুগভীর কুয়া থেকেই মুক্তিলাভ সম্ভব, যদি না আপনি হাল ছেড়ে দেন।

মৃত্যুশয্যায় আলেকজান্ডার তাঁর সেনাপতিদের ডেকে যা বলেছিলেন...

ছবি
মৃত্যুশয্যায় আলেকজান্ডার তাঁর সেনাপতিদের ডেকে বলেছিলেন, ‘আমার মৃত্যুর পর আমার তিনটা ইচ্ছা তোমরা পূরণ করবে। এতে যেন কোনো ব্যত্যয় না ঘটে। আমার প্রথম অভিপ্রায় হচ্ছে, শুধু আমার চিকিৎসকেরা আমার কফিন বহন করবেন। আমার দ্বিতীয় অভিপ্রায়, আমার কফিন যে পথ দিয়ে গোরস্থানে নিয়ে যাওয়া হবে, সেই পথে আমার কোষাগারে সংরক্ষিত সোনা, রুপা ও অন্যান্য মূল্যবান পাথর ছড়িয়ে দিতে হবে। আমার শেষ অভিপ্রায়, আমার কফিন বহনের সময় আমার দুই হাত কফিনের বাইরে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।’ তাঁর মৃত্যুশয্যায় উপস্থিত লোকজন মহাবীর আলেকজান্ডারের এই অদ্ভুত অভিপ্রায়ে বিস্মিত হন। কিন্তু এ ব্যাপারে তাঁকে কিছু জিজ্ঞেস করার সাহস পাচ্ছিলেন না কেউ। তখন তাঁর একজন প্রিয় সেনাপতি তাঁর হাতটা তুলে ধরে চুম্বন করে বলেন, ‘হে মহামান্য, অবশ্যই আপনার সব অভিপ্রায় পূর্ণ করা হবে; কিন্তু আপনি কেন এই বিচিত্র অভিপ্রায় ব্যক্ত করলেন?’ দীর্ঘ একটা শ্বাস গ্রহণ করে আলেকজান্ডার বললেন, ‘আমি দুনিয়ার সামনে তিনটি শিক্ষা রেখে যেতে চাই। আমার চিকিৎসকদের কফিন বহন করতে বলেছি এ কারণে যে, যাতে লোকে অনুধাবন করতে পারে চিকিৎসকেরা আসলে কোনো মানুষকে সারিয়ে তুলতে পা