পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পলির বর্জন নীতি ও বিস্তারিত আলোচনা

ছবি
পলির বর্জন নীতি   একই পরমাণুতে যে কোন দুটি ইলেকট্রনের চারটি কোয়ান্টাম সংখ্যার মান কখনোও একই হতে পারেনা।   দুটি ইলেকট্রনের ৩টি কোয়ান্টাম সংখ্যার মান একই হলে চতুর্থ কোয়ান্টাম সংখ্যা অবশ্যই ভিন্ন হবে। যেমনঃ - দুটি ইলেকট্রন বিশিষ্ট একটি পরমাণুতে - ১ম ইলেকট্রনের জন্য , n = 1,  l = 0, m = 0, s = +  , ২য় ইলেকট্রনের জন্য, n = 1,  l = 0, m = 0, s = - , অর্থাৎ একই পরমাণুর ২টি ইলেকট্রনের কক্ষপথের আকার   (n) , আকৃতি ( l ) , কৌণিক অবস্থান (m) একই হতে পারে যদি তাদের নিজ অক্ষের উপর ঘুর্ননের দিক পরস্পর বিপরীতমুখী হয়। সুতরাং পলির বর্জন নীতির মূলকথা হলো- " একটি পারমাণবিক অরবিটালে সর্বাধিক দুটি ইলেকট্রন থাকতে পারে যদি তাদের ঘুর্নন বা স্পিন বিপরীত মুখী হয়। 

কোয়ান্টাম সংখ্যা পরিচিতি, বিভিন্ন প্রকার কোয়ান্টাম সংখ্যার বর্ণনা

ছবি
কোয়ান্টাম সংখ্যা সংজ্ঞা   - পরমাণুতে অবস্থিত ইলেকট্রনের শক্তিস্তরের আকার, আকৃতি, ত্রিমাতৃক বিন্যাস প্রকরণ এবং আবর্তনের দিক প্রকাশক সংখ্যা সমূহকে কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে।   প্রকারভেদঃ- কোয়ান্টাম সংখ্যাকে ৪ ভাগে ভাগ করা হয়েছে   ১) প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যা, ২) সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা, ৩) ম্যাগনেটিক কোয়ান্টাম সংখ্যা, ৪) স্পিন কোয়ান্টাম সংখ্যা, ১) প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যাঃ - যে কোয়ান্টাম সংখ্যার সাহায্যে পরমাণুতে অবস্থিত ইলেকট্রনের শক্তিস্তরের আকার নির্নয় করা যায় তাকে প্রধাণ কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে।   প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যাকে n দ্বারা প্রকাশ করা হয়। যেমনঃ- n=1,2,3,4,5 ইত্যাদি । ২) সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যাঃ - যে কোয়ান্টাম সংখ্যার সাহায্যে শক্তিস্তরের আকৃতি নির্নয় করা যায় তাকে সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা বলে। একে l দ্বারা প্রকাশ করা হয়। l = 0 ~ (n-1). সহকারী কোয়ান্টাম সংখ্যা প্রধান কোয়ান্টাম সংখ্যার উপর নির্ভরশীল। ৩) ম্যাগনেটিক কোয়ান্টাম সংখ্যাঃ - যে সকল সংখ্যার সাহায্যে ইলেকট্রনের কক্ষপথের ত্রিমাতৃক দিক বিন্যাস প্রকরন সমূহ প্রকাশ করা হয় তাকে ম্যাগনেটিক কোয়ান্টাম স

রাদারফোর্ড পরমাণু মডেল

ছবি
  ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে বিজ্ঞানী রাদারফোর্ড সৌরমন্ডলের সাথে সাদৃশ্য রেখে পরমাণুর গঠন সম্পর্কে নিজস্ব মতবাদ উপস্থাপন করেন। এ মতবাদটিকে রাদারফোর্ডের   সোলার সিস্টেম এটম মডেল   বলা হয়ে থাকে।এ মতবাদের উল্লেখযোগ্য প্রস্তাবগুলো হলোঃ ১. সকল পরমাণু অতিশয় ক্ষুদ্র গোলাকৃতি কণা। এর দুটি অংশ রয়েছে যথা: (ক) কেন্দ্র বা   নিউক্লিয়াস   এবং (খ) কেন্দ্র বহির্ভূত অঞ্চল । ২. পরমাণুর কেন্দ্রস্থলে একটি ধনাত্মক চার্জবিশিষ্ট ভারী বস্তু বিদ্যমান। এই ভারী বস্তুকে পরমাণুর কেন্দ্র বা নিউক্লিয়াস বলে। পরমাণুর মোট আয়তনের তুলনায় নিউক্লিয়াসের আয়তন অতি নগণ্য। ৩. পরমাণুর প্রায় সবটুকু ভর এর নিউক্লিয়াসে পুঞ্জীভূত। তাই মোটামুটিভাবে নিউক্লিয়াসের ভরই   পারমাণবিক ভর । ৪. সৌরমন্ডলে সূর্যের চারদিকে আবর্তনীয় গ্রহসমুহের মত পরমাণুতে নিউক্লিয়াসের চতুর্দিকে কক্ষপথে কতগুলো ঋণাত্মক কণিকা সর্বদা ঘূর্ণায়মান থাকে। এদের   ইলেকট্রন   বলে। ৫. পরমাণু   বিদ্যুৎ   নিরপেক্ষ। তাই পরমাণুতে ধনাত্মক চার্জের সংখ্যা এবং পরিক্রমণশীল ঋণাত্মক চার্জযুক্ত ইলেকট্রনের সমান। ৬. নিউক্লিয়াস ও ইলেকট্রনের মধ্যে বিরাজিত কেন্

পরমাণু ও তার মূল কণিকা সমূহ

পরমাণুঃ-   মৌলিক পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা যার স্বাধীন অস্তিত্ব নেই , কিন্তু ক্ষুদ্রতম একক হিসেবে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় অংশ  গ্রহণ করে তাকে পরমাণু বলে।   মূল কণিকাঃ-   যে সকল নিরতিশয় ক্ষুদ্র কণিকা দ্বারা পরমাণু গঠিত তাদের কে পরমাণুর মূল কণিকা বলে। মূল কণিকা ৩ প্রকার যথাঃ-   ১) স্থায়ী মূল কণিকা , ২) অস্থায়ী মূল কণিকা ,  ৩) কম্পোজিট কণিকা। ১) স্থায়ী মূল কণিকাঃ-   কত গুলো মূল কণিকা আছে যা সব মৌলের পরমাণুতেই থাকে , তাদের কে স্থায়ী মূল কণিকা বলে। স্থায়ী মূল কণিকা ৩ টি যথাঃ- ১) প্রোটন , ২) নিউট্রন, ৩) ইলেকট্রন । ২) অস্থায়ী মূল কণিকাঃ- কত গুলো মূল কনিকা আছে যা কোন কোন মৌলের পরমাণুতে খুবই অল্প সময়ের জন্য অস্থায়ীভাবে থাকে। এদেরকে অস্থায়ী মূল কণিকা বলে। এ ধরনের কণিকার সংখ্যা প্রায় একশ, এদের মধ্যে কিছু হলো-  ১) নিউট্রিনো, ২) অ্যান্টিনিউট্রিনো, ৩) পজিট্রন, ৪) মেসন ইত্যাদি। ৩) কম্পোজিট কণিকাঃ- স্থায়ী ও অস্থায়ী মূল কণিকা ব্যতীত আর এক ধরনের ভারী কণিকা দেখা যায়। একে কম্পোজিট কণিকা বলে। যেমনঃ- ১) ডিউটেরন কণা, ২) আলফা কণা।                                          

রাশি পরিচিতি এবং তার প্রকারভেদ সমূহ

রাশিঃ-   বস্তু জগতে পদার্থের যেসব ভৌত বৈশিষ্ট পরিমাপ করা যায় তাকে রাশি বলে। যেমনঃ- কোনো বস্তুর দৈর্ঘ , ভর , আয়তন , ভেগ , ত্বরণ , কাজ ইত্যাদি এক একটি রাশি। পদার্থবিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত যে কোন রাশিকে ভৌত রাশি বলে। ভৌত রাশি কে ২ ভাগে ভাগ করা হয়েছে- ১) স্কেলার রাশি বা অদিক রাশি । ২) ভেক্টর রাশি বা সদিক রাশি।   ১) স্কেলার রাশি বা অদিক রাশিঃ-   যেসব ভৌত রাশিকে সম্পুর্নভাবে প্রকাশ করতে শুধু মানই যথেষ্ট , কোনো দিক নির্দেশের প্রয়োজন হয় না তাকে স্কেলার রাশি বলে। যেমনঃ- দৈর্ঘ , ভর , সময় , ক্ষেত্রফল , আয়তন ইত্যাদি। ২) ভেক্টর রাশি বা সদিক রাশিঃ-   যেসব ভৌত রাশিকে সম্পুর্নভাবে প্রকাশ করতে মান ও দিক উভয়ের প্রয়োজন হয় তাকে ভেক্টর রাশি বলে। যেমনঃ- সরণ , বেগ , ত্বরণ , মন্দন , বল , ওজন ইত্যাদি। বিভিন্ন ভৌত রাশি ও তাদের একক সমূহ রাশি   প্রতীক দৈর্ঘ ( Length) l ভর ( Mass ) m সময় ( Time ) t সরণ ( Displacement ) s ক্ষেত্রফল ( Area ) A আয়তন ( Volume ) V