পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০১৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রাসায়নিক বিক্রিয়া

১) সংযোজন বিক্রিয়াঃ- যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় দুই বা ততোধিক মৌলিক বা যৌগিক পদার্থ পরস্পর বিক্রিয়া করে একটি মাত্র যৌগ উৎপন্ন করে তাকে সংযোজন বিক্রিয়া বলে , যেমনঃ- NH3 + HCL → NH4CL, . ২) বিযোজন বিক্রিয়াঃ- যে বিক্রিয়ায় একটি যৌগ বিভক্ত হয়ে দুই বা ততোধিক মৌল বা যৌগে পরিনত হয় তাকে বিযোজন বিক্রিয়া বলে , যেমনঃ- HCL → H2 + CL2, . ৩)   দ্বিবিযোজন ( বিনিময় ) বিক্রিয়াঃ- যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় দুটি ভিন্ন যৌগের অণুর মৌল স্থান অদল বলদ করে বা বিনিময় করে একাধিক নতুন অণু গঠন করে তাকে বিনিময় বিক্রিয়া বলে , যেমনঃ- AgNO3 + NaCL → AgCL + NaNO3, . ৪) প্রতিস্থাপন বিক্রিয়াঃ- যে রাসায়নিক একটি মৌল অন্য একটি যৌগের অণুর এক বা একাধিক পরমাণুকে সরিয়ে নিজেই তার স্থান দখল করে নতুন যৌগ উৎপন্ন করে তাকে প্রতিস্থাপন বিক্রিয়া বলে , যেমনঃ- Zn + H2SO4 → ZnSO4 + H2. . ৫) প্রশমন বিক্রিয়াঃ- যে বিক্রিয়ায় একটি এসিড বা একটি ক্ষারকের সংযোগে লবণ ও পানি উৎপন্ন হয় তাকে প্রশমন বিক্রিয়া বলে , যেমনঃ- 2HCL + MgO → MgCl2 + H2O. . ৬) দহন বিক্রিয়াঃ- যে রাসায়নিক বিক্রিয়ায়

পদার্থের গঠন

পদার্থের   গঠন   অধ্যায় 1.      অনুঃ-   কোন   যৌগিক   অথবা   মৌলিক   পদার্থের   ক্ষুদ্রতম   কণা   ঐ   বস্তুর   ধর্মাবলি   অক্ষুণ্ণ   রেখে   স্বাধীনভাবে   বিরাজ   করতে   পারে   তাকে   অণু   বলে   ।   যেমন   পানির   অণু   H 2 O   ইত্যাদি   । 2.       2. পরমানুঃ-   মৌলিক   পদার্থের   ক্ষুদ্রতম   কণিকাকে   পরমানু   বলে   ।   যেমন-   হাইড্রোজেন   পরমাণু   (H),            অক্সিজেন   পরমাণু   (o) 3.     নিউক্লিয়াসঃ-   পরমাণুর   কেন্দ্রস্থলে   একটি   ধনাত্মক   চার্জ   বিশিষ্ট   ভারি   বস্তু   বিদ্যমান   ।   এই   ভারি                    বস্তুকে   নিউক্লিয়াস   বলে , 4.     নিউট্রনঃ-   পরমাণুর   কেন্দ্রে   অবস্থিত   আধানবিহীন   মৌলিক   কণিকাকে   নিউট্রন   বলে   ।               একে   n   দ্বারা   প্রকাশ   করা   হয় ,    5.   প্রোটনঃ-   পরমাণুর   কেন্দ্রে   অবস্থিত   ধনাত্নক   চার্জবিশিষ্ট   স্থায়ী   কণিকা   হলো   প্রোটন ,        এর   প্রতিক   p, 6.     ইলেকট্রনঃ-    পরমাণুর   নিউক্লিয়াসের   চারদিকে   বিভিন্ন   স্থায়ী   কক্ষপথে   আবর্তনরত   ঋনাত্বক   চার্জবিশিষ্ট   মৌলিক   ক

বিস্ময়কর কিছু তথ্য !!!

*** জেনে নিন কিছু অদ্ভুত তথ্যাবলী*** ১. চকলেট হলো কুকুরের জন্য বিষ। ১টা বড় কুকুরকে মারতে সামান্য কয়েক পাউন্ড চকলেটই যথেষ্ট। ২. লিপস্টিকের প্রধান উপকরন হলো মাছের আশেঁর গুড়া। ৩. মার্লবোরো সিগারেট কোম্পানীর প্রথম মালিক ফুসফুসের ক্যান্সারে মারা যান। ৪. পৃথিবীর সবচেয়ে বেশী লোকের নামের প্রথম বা শেষ অংশে   “ মোহাম্মদ ”   রয়েছে। ৫. চোখ খোলা রেখে হাচিঁ দেওয়া কোন মানুষের পক্ষেই সম্ভব না। ৬. কোকা কোলা কে গাড়ীর তেল ( মবিলের বিকল্প) হিসেবে ব্যবহার করা যায়। ৭. আমেরিকার ওয়াশিংটনে মানুষ অপেক্ষা টেলিফোনের সংখ্যা বেশী। ৮. আমেরিকার মিশিগানে কোন বিবাহিত মহিলার চুল কাটাতে স্বামীর অনুমতি লাগে। ৯. আমেরিকার কলাম্বিয়া প্রদেশে মেয়ের বাসর রাতে তার মায়ের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। ১০. লিওনার্ডো দা ভিন্চি একই সাথে এক হাতে লিখতে এবং অন্য হাতে ড্রয়িং করতে পারতেন। ১১. এডলফ হিটলারের মা তার জন্মের ৩ মাস আগে এবরশন করানোর জন্য ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন। তবে কিছু স্বাস্থ্যগত জটিলতার জন্য ডাক্তার সেটা করতে বারণ করেন। ১২. ডেন্টিস্টদের মতে টুখব্রাশ টয়লেটের কমোড থেক

Biology General Knowledge (9-10)

Class 9-10 For SSC 1.         জীববিজ্ঞানকে কয়টি ভাগে ভাগ করা হয়   ? উত্তরঃ- ২ ভাগে , ( উদ্ভিদ ও প্রানী) 2.         ভৌত বিজ্ঞানে কোন বিষয়ে আলোচনা করা হয় ? উত্তরঃ- তত্ত্বীয় বিষয় । 3.         ভৌত বিজ্ঞানের বিষয়গুলো কী কী ? উত্তরঃ-     ১) অঙ্গসংস্থান বিদ্যা ,   ২) শ্রেনী বিন্যাস ,   ৩) শরীর বিদ্যা ,   ৪) হিস্টোলজি ,   ৫) ভ্রুন বিদ্যা ,   ৬) কোষ বিদ্যা ,   ৭) বংশগতি বিদ্যা ,   ৮) বিবর্তন বিদ্যা ,   ৯) বাস্তু বিদ্যা ,   ১০) জীব ভূগোল ,   ১১) এন্ড্রোক্রাইনলজি । 4.         ভৌত বিষয়ের কোনটিতে জীবের দৈহিক কাঠামো নিয়ে আলোচনা করা হয় উত্তরঃ-     অঙ্গসংস্থান বিদ্যা , Morphology. 5.         জীবের শ্রেণীবিন্যাস নিয়ে কোন শাখায় আলোচনা করা হয় ? উত্তরঃ-     Taxonomy. 6.         জীবের শারীর বৃত্তীয় কাজের বিবরণ পাওয়া যায় কোন শাখায় ? উত্তরঃ-   Physiology. 7.         জীবদেহের টিস্যু সমূহের গঠন ,   বিন্যাস কার্যাবলি যে শাখায় আলোচিত হয় তাকে কী বলে ? উত্তরঃ-     Histology. 8.         জীবের ভ্রুনের পরিস্ফুটন সম্পর্কে কোন শাখায় আলোচনা করা হয় ? উত্তরঃ-     Embry

ইমবাইবিশন, ব্যাপন, অভিস্রবণ

1 .       ইমবাইবিশনঃ-     আমরা জানি কলয়েড জাতীয় শুকনা বা আধা শুকনা পদার্থ তরল পদার্থ শুষে নেয় । এ প্রক্রিয়াকে   ইমবাইবিশন বলে । 2.      ব্যাপনঃ-  যে প্রকৃয়ার মাধ্যমে কোনো দ্রব্যের অনু বেশি ঘনত্বের এলাকা থেকে কম ঘনত্বের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে তাকে ব্যাপন বলে ।   3.      অভিস্রবনঃ-  দ্রাবকের বৈষম্য ভেদ্য পর্দা ভেদ করে তার উচ্চ ঘনত্বের দিক থেকে         কম ঘনত্বের দিকে প্রবাহিত হওয়াকে অভিস্রবণ বলে ।  

রক্ত কণিকার কাজ কী

ছবি
রক্ত কণিকা  রক্ত কণিকার কাজ ১) লোহিত   রক্ত কণিকার কাজঃ- i. লোহিত রক্তকণিকার হিমোগ্লোবিন ফুসফুস থেকে   O 2     এবং সামান্য   CO 2    পরিবহন করে । ii. রক্তের সান্দ্রতা রক্ষা করে । iii. হিমোগ্লোবিন ও অন্যান্য আন্তঃকোষীয় বস্তু বাফাররূপে রক্তে অম্ল ও ক্ষারের সমতা রক্ষা করে । iv. রক্তে বিলিরুবিন উৎপাদন করে । v. প্লাজমা ঝিল্লীতে এন্টিজেন প্রোটিন সংযুক্ত থাকে যা মানুষের রক্তের গ্রুপিংয়ের জন্য দায়ী । ২) শ্বেত রক্ত কনিকার কাজঃ- i. মনোসাইট ও নিউট্রিফিল   ফ্যাগোসাইটোসিস প্রক্রিয়ায় জীবাণু ভক্ষণ করে ধ্বংস করে । ii.   নিউট্রোফিলের বিষাক্ত দানা জীবাণু ধ্বংস করে । iii. দানাদার লিকোসাইট হিস্টাসিন সৃষ্টি করে যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে । iv. লিস্ফোসাইট অ্যান্টিবডি সৃষ্টি করে রোগ প্রতিরোধ করে । ৩)অনুচক্রিকার কাজঃ- i. রক্তনালীর ক্ষতিগ্রস্ত এন্ডোথেরিয়াল আবরণ পুনর্গঠন করে । ii.              সেরাটোনিন নামক রাসায়নিক পদার্থ উৎপন্ন করে যা রক্তনালীর সংকোচন ঘটিয়ে রক্তপাত হ্রাস করে ।

কোষ বিভাজন

সংজ্ঞাঃ- যে প্রকৃয়ায় একটি সজীব কোষ বিভাজিত হয়ে দুই বা ততোধিক নতুন কোষ উৎপন্ন হয় তাকে কোষ বিভাজন বলে। আবার- যে পদ্ধতিতে মাতৃকোষ থেকে অপত্য কোষের সৃষ্টি হয় তাকে   কোষ বিভাজন বলে । জীবদেহে প্রধানত ২ ধরনের কোষ বিভাজন দেখা যায়- ১) মাইটোসিস কোষ বিভাজন । ক) নিউক্লিয়াস বিভাজন খ) সাইটোপ্লাজম   বিভাজ ন ২) মিয়োসিস কোষ বিভাজন । গুরুত্বঃ- ১) মাইটোসিস   বিভাজনের গুরুত্বঃ- জাইগোট থেকে ভ্রূণ গঠন এবং ভ্রূণের বর্ধনের জন্য মাইটোসিস প্রক্রিয়া গুরুত্বপুর্ন । এ পক্রিয়ায় কোষ বিভাজনের ফলে ক োষের সংখ্যা বেড়ে যায় । এভাবে উদ্ভিদ ও প্রাণীর দৈহিক বৃদ্ধি ঘটে । ২) মিয়োসিসের গুরুত্বঃ- যে সব জীবে যৌন প্রজনন ঘটে তাদের জনন কোষ এ পদ্ধতিতে সৃষ্টি হয় । এ পক্রিয়ায় কোষ বিভাজনের মাধ্যমে প্রতিটি জীবের ক্রোমোসোমের সংখ্যা নির্দিষ্ট থাকে এবং নতুন বৈশিষ্টযুক্ত অপত্য কোষ সৃষ্টি হয় ।