পোস্টগুলি

জীব বিজ্ঞান লেবেল থাকা পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

মাইট্রোকন্ড্রিয়া এর কাজ কী,

ছবি
শ্বসনে অংশগ্রহনকারী এ অঙ্গাণুটি বেনডা ( Benda ) ১৮৯৮ সালে আবিষ্কার করেন। এটি দ্বিস্তর বিশিষ্ট আবরণী বা ঝিল্লী দিয়ে ঘেরা। ভিতরের স্তরটি ভিতরের দিকে ভাজ হয়ে থাকে। এদের ক্রিস্টি ( Cristae ) বলে। ক্রিস্টির গায়ে বৃন্তযুক্ত গোলাকার বস্তু থাকে, এদের অক্সিজোম ( Oxisome ) বলে। অক্সিজোমে উৎসেচকগুলো সাজানো থাকে। মাইট্রোকন্ড্রিয়ার ভিতরে থাকে ম্যাট্রিক্স ( Matrix ) । জীবের শ্বসন কার্যে সাহায্য করা মাইট্রোকন্ড্রিয়ার প্রধান কাজ। আমরা জানি শ্বসন ক্রিয়ার প্রধান ধাপ দুটি। এর প্রথম ধাপ গ্লাইকোলাইসিসের বিক্রিয়াগুলো মাইট্রোকন্ড্রিয়ায় ঘটে না। তবে দ্বিতীয় ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ধাপ ক্রেবস চক্রের বিক্রিয়াগুলো এ অঙ্গানুর মধ্যেই সম্পন্ন হয়।  ক্রেবস চক্রে সর্বাধিক শক্তি উৎপন্ন হয়। এ জন্য মাইট্রোকন্ড্রিয়াকে কোষের শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র বা পাওয়ার হাউস বলা হয়। এ শক্তি জীব তার বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সকল উদ্ভিদ ও প্রাণী কোষে এদের পাওয়া যায়। আমাদের Android Community তে যোগ দিন Facebook

বিভিন্ন জীবের বৈজ্ঞানিক নাম

    সাধারণ নাম              বৈজ্ঞানিক   নাম ধান Orayza   sativa পাট Corchorus capsularis আম Mangifera indica কাঁঠাল Artocarpus heterophyllus শাপলা Nymphea nouchali জবা Hibiscus rosa-sinensis কলেরা জীবাণু Vibrio cholera ম্যালেরিয়া জীবাণু Plasmodium vivax আরশোলা Periplaneta Americana মৌমাছি Apis indica ইলিশ Tenualosa ilisha কুনোব্যাঙ Bufo melanostictus দোয়েল Copsychus saularis রয়েল বেঙ্গল টাইগার Panthera tigris মানুষ Homo sapiens

রক্ত কী এবং রক্তের কাজ কী

রক্ত : রক্ত কি ? প্রশ্নটির উত্তর সাধারণভাবে দিলে বলা যায় শরীরের কোন অংশে কেটে গেলে লাল রঙের যে তরল পদার্থ বের হয়ে আসে তাই রক্ত । ইহা স্বাদে লবণাক্ত , অস্বচ্ছ , ঈষৎ ক্ষারীয় ও আঠালো চটচটে তরল পদার্থ । একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের দেহে গড়ে ৫ থেকে ৬ লিটার রক্ত থাকে। প্রধানত অস্তিমজ্জায় রক্ত উৎপন্ন হয় । রক্তের উপাদান : রক্ত প্রধানত দুটি উপাদান নিয়ে গঠিত ।যথা : ·          ১। রক্তরস বা প্লাজমা ·          ২। রক্ত কণিকা রক্তরস : রক্তের হালকা হলুদ বর্ণের তরল অংশকে রক্তরস বা প্লাজমা বলে ।এই রক্তরসে রক্তকণিকা ভাসমান অবস্থায় থাকে ।রক্তরসে পানির পরিমাণ ৯২% । এছাড়াও রক্তরসে গ্লুকোজ , অ্যামাইনো এসিড , ফ্যাটি এসিড , গ্লিসারল , আমিষ (যেমন : অ্যালুবুমিন , ফিব্রিনোজেন) , খনিজলবণ , হরমোন , ভিটামিন , ইউরিয়া , এন্টিবডি , অক্সিজেন , কার্বনডাইঅক্সাইড ও অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ । রক্তের কাজ : ·          ১। রক্ত সারা দেহে পানি ও তাপের সমতা রক্ষা করে । · ...

অস্থি কী, Bone

ছবি
v   অস্থি যোজক কলার রুপান্তরিত রূপ। এটি দেহের সর্বাপেক্ষা দৃঢ় কলা। অস্থির মাতৃকা বা আন্তকোষীয় পদার্থ একপ্রকার জৈব পদার্থ দ্বারা গঠিত। অস্থির মাতৃকা শক্ত ও ভঙ্গুর। মাতৃকার মাঝে অস্থিকোষ গুলো ছড়ানো থাকে। অস্থিকোষ কে Osteoblast বলা হয়। এসব কোষ শাখা-প্রশাখাযুক্ত দেখতে অনেকটা মাকড়সার জালের মতো। অস্থি মূলত ফসফরাস, সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়ামের বিভিন্ন যৌগ দিয়ে তৈরি। এছাড়া অস্থিতে প্রায় ৪০-৫০ ভাগ পানি থাকে। জীবিত অস্থিকোষে  ৪০% জৈব এবং ৬০% অজৈব পদার্থ থাকে। অস্থি বৃদ্ধির জন্য প্রচুর ভিটামিন “ডি” ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহন করতে হবে।  

যৌগিক অনুবীক্ষন যন্ত্র

ছবি

মাইটোসিস / সমীকরনিক কোষ বিভাজন

ছবি
মাইটোসিস একটি  কোষ বিভাজন প্রক্রিয়া । এই প্রক্রিয়ায় একটি মাতৃকোষ বিভাজিত হয়ে দুটি অপত্য কোষ সৃষ্টি হয় । মাইটোসিস এই সময় নিউক্লিয়াস একবার বিভাজিত হয় ; ক্রোমোসোমও একবার  বিভাজিত হয়।  ফলে অপত্য কোষের ক্রোমোসোম সংখ্যা মাতৃকোষের সমান থাকে। তাই মাইটোসিসকে বলা হয় সমীকরনিক বিভাজন বা Equational Didision মাইটোসিসের ফলে যে দুটি কোষ সৃষ্টি হয় তারাও প্রস্তুতি গ্রহন করে আবার বিভাজিত হয়। এইভাবে মাইটোসিস ক্রমান্বয়ে চলতে থাকে। দুইবার মাইটোসিস কোষ বিভাজনের মধ্যবর্তি পর্যায়কে প্রস্তুতি পর্যায় বা ইন্টারফেজ বলে। কোষ চক্র কোষের প্রস্ততি পর্যায় এবং বিভাজন পর্যায়কে একত্রে কোষ চক্র বলে।

কোষ পরিচিতি

ছবি
*   কোষ জীব দেহের গঠন ও কাজের একক । *   রবার্ট হুক   কোষ আবিষ্কার করেন   ১৬৬৫ সালে । * Mycoplasma   এর দেহ একটিমাত্র কোষ দ্বারা গঠিত । * এর দেহের এই কোষটিই পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট কোষ । * সকল প্রানীর ডিম এক একটি কোষ । * উট পাখির ডিম হলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কোষ ।  * স্তন্যপায়ী প্রানীর স্নায়ুকোষ সবচেয়ে লম্বা কোষ । * কোষের প্রানকেন্দ্র নিউক্লিয়াস । * নিউক্লিয়াস আবিষ্কার করেন রবার্ট ব্রাউন ১৮৩১ সালে । * ১৯৩৯ সালে   কোষ মতবাদ প্রদান করেন   স্লাইডেন ও সোয়ান   ।    * আমাদের দেহ কোষ ডিপ্লয়েড ।                                                           * জনন কোষ হ্যাপ্লয়েড ।ইহাতে   ক্রোমোসোম   এক সেট অর্থাৎ ২৩ টি    * জনন কোষে অটোসোম ২২ টি এবং সেক্স ক্রোমোসোম ১টি । * প্লাজমোডেজমার সাহায্যে পাশাপাশি দুটি কোষ সংযোগ রক্ষা করে । * প্রানীর অন্...