পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০১৬ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ঘনত্ব কাকে বলে.

ছবি
ঘনত্ব আয়তনঃ   কোন বস্তু যে জায়গা জুড়ে থাকে   তাকে এর আয়তন বলে । ঘনত্বঃ   কোন বস্তুর একক   আয়তনের ভরকে   তার উপাদানের   ঘনত্ব   বলে । ঘনত্ব পদার্থের একটি সাধারণ ধর্ম । ঘনত্ব বস্তুরউপাদানের ও তাপমাত্রার উপর নির্ভরশীল । ঘনত্বকে   ρ দ্বারা প্রকাশ কর হয়   m ভরের কোন বস্তুর আয়তন v হলে , ঘনত্ব ρ  হবে ,  ঘনত্বের মাত্রা ঘণত্বের একক   সমান আয়তনের এক টুকরা কর্ক এবং এক টুকরা লোহা পানিতে ছেড়ে দিলে দেখা যাবে কর্কের টুকরা ভেসে আছে   আর লোহার টুকরা ডুবে গেছে । সাধারণ ভাবে বলা যায়   কর্কের চেয়ে   লোহার ঘনত্ব বেশি তাই ডুবে গেছে । আসলে আয়তন সমান হলেও যার ঘনত্ব বেশি সেটি ভারী   আর   যার ঘনত্ব কম সেটি   হালকা জর্ডানে অবস্থিত মৃত সাগরে পানিতে লবণ এবং অপদ্রব্য বেশি থাকার কারণে পানির ঘনত্ব এত বেশি যে মানুষ পানিতে ভেসে থাকতে পারে। কয়েকটি পদার্থ এবং তাদের ঘনত্বঃ দৈনন্দিন জীবনে ঘনত্বের ব্যবহারঃ ·          হাইড্রোজেনের ঘনত্ব বায়ুর ঘনত্ব থেকে কম হওয়ায় বেলুনে হাইড্রোজেন গ্যাস ভরে সহজে উপরের দিকে ওড়ানো হয় ·          সঞ্চয়ী কোষে ব্যবহৃত সালফিউরিক এসিডের ঘনত্ব      থেকে 

প্যাসকেলের বলবৃদ্ধিকরণ নীতি,

ছবি
প্যাসকেলের সূত্রঃ   আবদ্ধ পাত্রে তরল বা বায়বীয় পদার্থের কোনো অংশের উপর বাইরে থেকে চাপ প্রয়োগ করলে সেই চাপ কিছু মাত্র না কমে তরল বা বায়বীয় পদার্থের সবদিকে সমানভাবে সঞ্চালিত হয় এবং তরল বা বায়বীয় পদার্থের সংলগ্ন পাত্রের গায়ে লম্বভাবে ক্রিয়া করে। প্যাসকেলের সূত্রের গাণিতিক ব্যাখ্যা : বলবৃদ্ধিকরণ নীতি   আবদ্ধ তরল পদার্থের ক্ষুদ্রতম অংশের উপর পিস্টন দ্বারা কোনো বল প্রয়োগ করলে এর বৃহত্তম পিস্টন   সেই বলের বহুগুন বেশি বল প্রযুক্ত হতে পারে। একে বল বৃদ্ধিকরণ নীতি বলে।   বড় পিস্টনের ক্ষেত্রফল যত বেশি হবে বলও তত বেশি অনুভুত হবে

ওহমের সূত্র সমূহ,

ওহমের সূত্র ( Ohm’s Law) মান বিজ্ঞানী ড: জর্জ সাইমন ওহম কারেন্ট , ভোল্টেজ এবং রেজিস্ট্যান্সের মধ্যে সম্পর্ক নির্ণয় করেন , এ সম্পর্কই ওহমের সূত্র ( Ohm's Law) নামে পরিচিত। কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে সুষম উষ্ণতায় প্রবাহিত কারেন্ট ঐ পরিবাহীর দুপ্রান্তের ভোল্টেজের   সমানুপাতিক। অথবা কোন পরিবাহির ভিতর দিয়ে স্থির তাপমাত্রায় প্রবাহিত কারেন্ট ঐ পরিবাহির দুপ্রান্তের বিভব পার্থক্যের   সমানপাতিক এবং রেজিস্ট্যান্সের বাস্তানুপাতিক। ওহমের সূত্র মতে , কোন পরিবাহীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্য V এবং প্রবাহিত কারেন্ট I হলে , V α I বা , V = IR         এখানে , R = পরিবাহীর রেজিস্ট্যান্স (সমানুপাতিক ধ্রুবক) ওহমের সূত্রের সীমাবদ্ধতা: ওহমের সূত্রকে যদিও ইলেকট্রিসিটির গুরু বলে মানা হয় , এর কিছু সীমাবদ্ধতা আছে ১. ওহমের সূত্র DC এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য , AC এর ক্ষেত্রে নয়। ২. তাপমাত্রা পরিবর্তন হলে ওহমের সূত্র প্রযোজ্য নয়। ৩. তাপমাত্রা স্থির থাকলেও সিলিকন কার্বাইডের ক্ষেত্রে ওহমের সূত্র প্রযোজ্য নয়। ৪. জটিল সার্কিট সমূহ ওহমের সূত্রের সাহায্যে সমাধান করা যায

আর্কিমিডিস এর সূত্র

সাইরাকিউসের সম্রাট হিয়েরো এক স্বর্ণকারকে দিয়ে একটি সোনার মুকুট তৈরি করেছিলেন। মুকুটটি হাতে পাওয়ার পর সম্রাটের মনে হলো এর মধ্যে খাদ মেশানো আছে। স্বর্ণকার খাদের কথা অস্বীকার করল। এতে সম্রাটের মনের সন্দেহ দূর হলো না। তিনি প্রকৃত সত্য নিরূপণের ভার দিলেন রাজদরবারের বিজ্ঞানী আর্কিমিডিসের ওপর। মহা ভাবনায় পড়ে গেলেন আর্কিমিডিস। সম্রাটের আদেশে মুকুটের কোনো ক্ষতি করা যাবে না। আর্কিমিডিস ভেবে পান না মুকুট না ভেঙে কেমন করে তার খাদ নির্ণয় করবেন। কয়েক দিন কেটে গেল। ক্রমশই অস্থির হয়ে ওঠেন আর্কিমিডিস। একদিন দুপুরে মুকুটের কথা ভাবতে ভাবতে সব পোশাক খুলে চৌবাচ্চায় স্নান করতে নেমেছেন। পানিতে শরীর ডুবতেই আর্কিমিডিস লক্ষ্য করলেন কিছুটা পানি চৌবাচ্চা থেকে উপচে পড়ল।মুহূর্তে তার মাথায় এক নতুন চিন্তার উন্মেষ হলো। এক লাফে চৌবাচ্চা থেকে উঠে পড়লেন। তিনি ভুলে গেলেন তার শরীরে কোনো পোশাক নেই। সমস্যা সমাধানের আনন্দে নগ্ন অবস্থাতেই ছুটে গেলেন রাজদরবারে। মুকুটের সমান ওজনের সোনা নিলেন। একপাত্র পানিতে মুকুটটি ডোবালেন। দেখা গেল খানিকটা পানি উপচে পড়ল। এবার মুকুটের ওজনের সমান সোনা নিয়ে জলপূর্ণ পাত্রে ডোবান

দীপন ক্ষমতা কী।

কোনো আলোক উৎসের দীপন ক্ষমতা বলতে আমরা বুঝি আলোক সৃষ্টির ব্যাপারে ঐ উৎস কত তীব্র অর্থাৎ একটা উৎস থেকে কী হারে আলোকশক্তি নির্গত হচ্ছে দীপন ক্ষমতা দ্বারা তা বুঝা যায়। কোনো বিন্দু উৎস থেকে প্রতি সেকেন্ডে কোনো নির্দিষ্ট দিকে একক ঘণকোনে যে পরিমান আলোক শক্তি নির্গত হয় তাকে ঐ উৎসের দীপন ক্ষমতা বলে। আন্তর্জাতিক পদ্ধতিতে যে সাতটি রাশিকে মৌলিক রাশি হিসেবে ধরা হয়েছে দীপন ক্ষমতা তার একটি। এর সংকেত I এবং একক ক্যান্ডেলা (Candela).

কি খেলে রক্ত বাড়ে???

ছবি
রক্ত লাল হয় হিমোগ্লোবিন নামক এক ধরনের প্রোটিনের কারণে। আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয়রন প্রয়োজন হিমোগ্লোবিনের মাত্রাকে ভালো রাখতে। শরীরে হিমোগ্লোবিনের আমাদের পরিমাণ কমে গিয়ে রক্তশূন্যতা হতে পারে। অস্থিমজ্জা রক্ত কোষ উৎপন্ন করে। তবে এই কোষ সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময় পর মারা যায়। তাহলে কীভাবে রক্ত বৃদ্ধি পায় ? ১. আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খান হিমোগ্লোবিন তৈরির জন্য আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। হিমোগ্লোবিন তৈরিতে লাল মাংস , শাক , ডিম , পালং শাক , কচু ইত্যাদি খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। ২. ফলিক এসিড ভিটামিন বি৯ ও ফলিক এসিড লোহিত রক্ত কণিকা উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। শরীরে এগুলোর চাহিদা পূরণে পালং শাক , বাদাম , ডাল , সিরিয়াল এগুলো খেতে পারেন। ৩. ভিটামিন বি ১২ ভিটামিন ১২ সমৃদ্ধ খাবার দাবার লোহিত রক্ত কণিকা উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। মাছ , ডিম , গরুর মাংসের লিভার , দুগ্ধ জাতীয় খাবার এই চাহিদা পূরণ করবে। ৪. সবুজ শাক সবুজ শাকে রয়েছে আয়রণ , প্রোটিন , ভিটামিন বি এবং ভিটামিন সি। এগুলো রক্তের জন্য খুব ভালো। তাই রক্ত ভালো রাখতে সবুজ শ

তাপহারী বিক্রিয়া কাকে বলে,

তাপহারী বিক্রিয়া (Endothermic Reaction) পরিচিতিঃ-   যে রাসায়নিক বিক্রিয়া সংঘটিত হওয়ার জন্য তাপের শোষণ ঘটে, তাকে তাপহারী বিক্রিয়া বলে। অন্যভাবে বিক্রিয়ক থেকে উৎপাদ উৎপন্ন হওয়ার সময় তাপশক্তি শোষিত হলে তাকে তাকে তাপহারী বিক্রিয়া বলে। তাপহারী বিক্রিয়ায় বিক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথে বিক্রিয়াপাত্র ও বিক্রিয়া-দ্রবণ শীতল বা ঠাণ্ডা হতে থাকে। এই বিক্রিয়ায় শোষিত তাপকে উৎপাদের সাথে বিয়োগ দিয়ে বা বিক্রিয়কের সাথে যোগ দিয়ে অথবা ∆ H হিসেবে প্রকাশ করা হয়। তাপহারী বিক্রিয়ায় ∆ H এর মান ধনাত্নক হয়। যেমন, তাপ, চাপ ও প্রভাবকের উপস্থিতিতে নাইট্রোজেন ও অক্সিজেন বিক্রিয়া করে দুই মোল নাইট্রিক অক্সাইড উৎপন্ন হওয়ার সময় 180 কিলোজুল তাপ শোষিত হয়। N 2 (g) + O 2 (g) ⥧ 2NO (g) – 180kJ