পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০১৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ভাওয়াল রাজার কাহিনী

ছবি
'''''''' ভাওয়াল রাজা ও সন্ন্যাসীর মামলা ''''''' রূপকথার অনেক কাহিনি শুনে আমরা বিমোহিত হই। সে সব রূপকথাকেও হার মানায় গাজীপুরের জয়দেপুরের ভাওয়ালের ‘ মৃত ’ রাজার সন্ন্যাসী হিসাবে আবির্ভাবের জমজমাট কাহিনি। মৃত্যুর বার বছর পর হাজির হয়ে জমিদারির অংশ ও নিজের স্বীকৃতির দাবি তুললে পরিস্থিতি কী হতে পারে , ভাওয়ালের সন্ন্যাসী রাজার এই কাহিনি না শুনলে তা অনুমান করাও অসম্ভব। ` মৃত ` রাজা দৃশ্যপটে হাজির হতেই শুরু হয় রাজত্ব দখল করে বসা সুবিধাভোগীদের চক্রান্ত। তারা রাজাকেই অস্বীকার করে বসে। অন্যদিকে রাজাও নিজের পরিচয়ের সত্যতা প্রমাণে প্রাণান্ত চেষ্টা চালান। এই জটিল পরিস্থিতিতে রাজার স্ত্রী বিভাবতীর ভূমিকা পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তোলে। শুরু হয় প্রাসাদ ষড়যন্ত্র। রাজপরিবার শুধু নয় , রাষ্ট্রযন্ত্র ও সাধারণ মানুষ (প্রজা) দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে। সত্য উদঘাটনের দায়িত্ব পড়ে আদালতের উপর। চূড়ান্ত ফয়সালায় পৌঁছতে লেগে যায় সিকি শতাব্দি। ততদিনে ভাওয়ালের ক্ষয়িষ্ণু জমিদারিই শুধু নয় , পুরো জমিদারি প্রথাই বিলুপ্তির মুখে। গত শতাব্দীর গোঁড়ার দিকের এ কাহিনির

এম,আর,আই (M.R.I) কী? এবং কীভাবে কাজ করে?

ছবি
MRI (Magnetic Resonance Imaging) বর্তমান যুগের একটি অসাধারণ ডায়াগনস্টিক টুল। এর মাধ্যমে শরীরের অভ্যন্তরে বিভিন্ন অংশের নিঁখুত ছবি তোলা যায়। এর মাধ্যমে শরীরের বিভিন্ন অংশের টিউমার , ক্ষত , ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু , ভাংগা হাড় ইত্যাদি সনাক্ত করা যায়। এটি কিভাবে কাজ করে ?? • মানবদেহের শতকরা ৭০% ভাগই পানি আর চর্বি। এতে থাকে প্রচুর পরিমাণে হাইড্রোজেন পরমাণু। সাধারণত এই পরমাণুগুলো লাটিমের মত তাদের নিজস্ব চৌম্বক ক্ষেত্রে এদিক ওদিক ইতস্ততভাবে ঘুরতে থাকে। • যদি মানবদেহকে একটি শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্রে রাখা হয় তবে এই হাইড্রোজেন পরমাণুসমূহ্ জোড়ায় জোড়ায় এমনভাবে সজ্জিত হয় যে প্রায় অর্ধেক সংখ্যক পরমাণু চৌম্বকক্ষেত্রের উত্তর মেরুর দিকে এবং বাকী প্রায় অর্ধেক সংখ্যক চৌম্বকক্ষেত্রের দক্ষিণ মেরুর দিকে সজ্জিত হয়ে যায়। • কিন্তু কিছু হাইড্রোজেন পরমাণু বেজোড় থেকে যায় (চিত্রে সবুজ পরমাণুগুলো জোড় গঠন করতে পারেনি)। এমতাবস্থায় যদি রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ওয়েভ (বেতার কম্পাঙ্কের তরঙ্গ) পালস্ পাঠানো হয় তবে এই বেজোড় পরমাণুগুলো শক্তি গ্রহণ করে বর্তমান অবস্থান পরিবর্তন করে অপর দিকে ঘুরে যায়। • অতঃপর যদি রেডিও ফ্রিকোয়েন্স

মঙ্গল গ্রহে পানির সন্ধান

ছবি
পৃথিবীর প্রাণিজগতের বেঁচে থাকার জন্য পানি প্রয়োজন। সেই তরল পানির সন্ধান মিলেছে আমাদের সৌরমণ্ডলের লালগ্রহ হিসেবে পরিচিত মঙ্গলগ্রহে। সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত নয়টা ৪০ মার্কিন মহাশূন্য গবেষণা সংস্থা নাসা এ ঘোষণা দিয়েছে। নাসা জানিয়েছে, তারা মঙ্গলের মার্সিয়ান বায়ুস্তরে পানির সন্ধান পান। এ পানি কোথা থেকে আসছে, তা তারা বলতে পারছেন না। তবে তারা ধারণা করছেন, মঙ্গলগ্রহের ভূপৃষ্ঠের নিচ থেকে কিংবা লবণাক্ত স্যাঁতস্যাঁতে এলাকা এ পানি এসেছে। নাসা জানাচ্ছে, মঙ্গলে গভীর অন্ধকার খাদ রয়েছে। ওখানে যখন শরৎকাল চলে, তখন জমে থাকা বরফ তরলপানিতে পরিণত হয়। তবে মঙ্গলে গড় তাপমাত্রা -৫০ ডিগ্রি। তবে নাসা এটাও জানিয়েছে যে, এখন পর্যন্ত মঙ্গলগ্রহ মানুষের বসবাসের জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত নয়।    ২৪ সেপ্টেম্বর ‘মঙ্গলগ্রহে গুরুত্বপূর্ণ বৈজ্ঞানিক তথ্য’ (‘Major Science Finding) পাওয়ার ঘোষণা দেয় নাসা এবং ২৮ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার কথা জানানো হয়। এর আগে এ বছরের জুলাই মাসে নাসা এক প্রেসব্রিফিংয়ে পৃথিবীর বাইরে মঙ্গলগ্রহে সম্ভাব্য প্রাণের অস্তিত্ব সম্পর্কে আভাস দিয়েছিল। নাসার প্লানেটর

ইউরেনিয়াম

ছবি
ইউরেনিয়াম ইউরেনিয়াম আবার কি জিনিস ? অনেকের কাছেই ইউরেনিয়াম জিনিসটি অপরিচিত , তবে যারা পদার্থ বিজ্ঞান পরেন তারা বলতে পারবেন ইউরেনিয়াম সম্পর্কে।   আজকে আমরা ইউরেনিয়াম এর বৈজ্ঞানীক পরিচিতি সহ এর ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করবো:- ১৮৯৬ সালে বিজ্ঞানী   হেনরি বেকেরেল ইউরেনিয়ামের তেজস্ক্রিয়তা আবিষ্কার করেন।  ইউরেনিয়াম রূপালি-সাদা বর্ণের তেজস্ক্রিয় একটি ধাতু।  ১৭৮৯ সালে জার্মান বিজ্ঞানী   মার্টিন হাইনরিখ ক্ল্যাপরথ   ইউরেনিয়াম আবিষ্কার করেন। তিনি ইউরেনাস গ্রহের নামানুসারে এর নামকরণ করেন ইউরেনিয়াম। কারণ সে সময় ইউরেনাস গ্রহের আবিষ্কারের ঘটনা ছিল সবচেয়ে সাম্প্রতিক। কিন্তু প্রথম ইউরেনিয়াম সংশ্লেষ করা হয় ১৮৪১ সালে। এই সালে বিজ্ঞানী   ইউজিন পেলিকট   ইউরেনিয়াম টেট্রাক্লোরাইড থেকে প্রথম ইউরেনিয়াম সংশ্লেষ করেন। ১৯৪ ০ সালে নেপচুনিয়াম আবিষ্কারের পূর্ব পর্যন্ত এটিই ছিল সবচেয়ে ভারী। যেসব দেশে পাওয়া যায়: প্রত্যেক বছর প্রায় ৫০ হাজার টোনের মত অশোধিত ইউরেনিয়াম উৎপাদন করা হয়। ২০১০ সালেই কেবল ৫৩ হাজার ৬৬৩ টোন ইউরেনিয়াম উৎপাদন করা হয়েছিল বিশ্বব্যাপী

মেডিক্যাল সাইন্স

ছবি
          চিকিৎসা ক্ষেত্রে পদার্থ বিজ্ঞানের অবধান আমাদের জিবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের   অবধান অপরিসীম ,  নিম্নে চিকিৎসা ক্ষেত্রে পদার্থ বিজ্ঞানের অবধান তুলে ধরা হলো , 1.      এক্সরে  (Xray):-    এক্সরে হলো এক ধরণের তাড়িৎ চৌম্বক বিকিরণ , এক্সরের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সাধারণ আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য এর চেয়ে অনেক কম , এই রশ্মির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য  10 -10 m  এর কাছাকাছি , ১৮৯৫ সালে উলহেমলোম রন্টজেন এক্সরে আবিষ্কার করেন , রঞ্জন রশ্মির অপরনাম এক্সরে , Xray এক্সরের ব্যবহারঃ-   এক্সরে নানা কাজে ব্যবহার করা যায় , রোগ নির্ণয়ের জন্য এক্সরের গুরুত্ব অপরিসীম , I.          হাড়ের ফাটল , স্থানচ্যুত হাড় , ভেঙ্গে যাওয়া হাড় ইত্যাদি এক্সরের সাহায্যে খুব সহজেই নির্ণয় করা যায় , II.          এক্সরের সাহায্যে পিত্তথলি ও কিডনির পাথরকে সনাক্ত করা যায় , III.          এক্সরের সাহায্যে অন্ত্রের প্রতিবন্ধকতা সনাক্ত করা যায় , 2.     আল্ট্রাসনোগ্রাফি  (altrasonography):-   আল্ট্রাসনোগ্রাফি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা উচ্চ কম্পাঙ্কের শব্দের প্রতিফলনের ওপর নির্ভরশীল , রোগ নির্ণয়ের জন্য যে আল্ট্রাসন

লবণে আয়োডিনের উপস্থিতি পরীক্ষা

লবণ একটি অতি প্রয়োজনীয় জিনিস। প্রতিদিন তা আমাদের প্রয়োজন। লবণে আয়োডিন থাকে যা আমাদের দেহের জন্য খুব প্রয়োজনীয়। কিন্তু বাজারে আয়োডিন ছাড়া লবণ অনেক ব্যাবসায়ী আয়োডিন আছে বলে বিক্রি করে। তাই আপনি যদি তা সনাক্ত করতে চান তাহলে আপনাকে নিচের পদ্ধতি অনুসরন করতে হবে: ১। লবণ ক্রয় করুন। ২। ভাল লেবু দরকার। ৩। লেবু সামান্য লবণে কয়েক ফোটা দিন। কিছুক্ষনের মাঝে যদি লবণ যদি নীল না হয় তবে বুঝতে হবে লবণ এ আয়োডিন নেই।

মাংসখেকো উদ্ভিদ

ছবি
মাংসখেকো গাছ , শুনতে অবিশ্বাস্য শোনালেও ঠিক যে প্রায় ৬০০ প্রজাতির উদ্ভিদ রয়েছে যারা ছোট কীটপতংগ থেকে শুরু করে অনেকে ছোট পাখি এমনকি ব্যাঙও খেয়ে ফেলতে পারে। গাছ সাধারনত নিজের খাদ্য নিজেই তৈরী করতে পারে , অন্যান্য গাছের মত মাংসাশী গাছও খাদ্য তৈরী করতে পারে। সাধারনত এরা ভেজা নীচু পরিবেশে জন্মায় যেখানে মাটিতে খনিজ উপাদান কম থাকে , তাই খাদ্য তৈরীতে প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান সংগ্রহের জন্য এদের মাংশল প্রাণী শিকার করতে হয়। ফাদ পেতে বা বিষাক্ত রসের মাধ্যমে এরা শিকারের কাজ সম্পন্ন করে। ফাদ দুরকমের হতে পারে , কোনো কোনো উদ্ভিদের সচল অঙ্গ নিকটে শিকার আসলেই ঝাপিয়ে পরে।কোনো কোনো উদ্ভিদ নি:শ্চল , ফাদ নিয়ে বসে থাকে , পতংগ নিজেই কখনো মধুর লোভে কখনো কৌতুহলের বসে ফাদে এসে ধরা দেয়। কিছু শিকারি উদ্ভিদের নাম- pitcher plant,Sundew plant,Venus’s-flytrap

গণিতের জাদু

1 x8+1=9 12 x 8 + 2 = 98 123 x 8 + 3 = 987 1234 x 8 + 4 = 9876 12345 x 8 + 5 = 98765 123456 x 8 + 6 = 987654 1234567 x 8 + 7 = 9876543 12345678 x 8 + 8 = 98765432 123456789 x 8 + 9 = 987654321

অণুজীব নিয়ে কিছু কথা

আমরা খালি    চোখে নানা ধরনের জীব-জন্তু ও উদ্ভিদ দেখি।     এই দৃশ্যমান জগতের নানা রূপ আমাদের মোহাচ্ছন্ন করে রাখে। কিন্তু এমন কিছু ক্ষুদ্র জীব রয়েছে যাদের আমরা খালি চোখে দেখি না। তবে এদের প্রভাব আমরা মানুষসহ অন্যান্য প্রাণী ও উদ্ভিদের উপর অত্যন্ত শক্তিশালী। এই অণুজীবরা পৃথিবীতে জীবনের শুরু থেকে বিদ্যমান হলেও বিজ্ঞানীরা এদের সন্ধান পেয়েছেন মাত্র ২০০ বছর আগে। সম্ভবত দৃশ্যমান জগত থেকে অদৃশ্যের খোঁজ পাওয়া কঠিন বলে অণুজীবরা এতকাল আমাদের অগোচরে ছিল। কিন্তু বর্তমানে আমরা এসব অণুজীবদের সাথে পরিচিত। ব্যাকটেরিয়া ,   ভাইরাস ,   আণুবীক্ষণিক ছত্রাক ,   প্রটোজোয়া এদের নাম শুনলে আমাদের মনে এখন এইডস ,   যক্ষ্মা ,   বার্ড ফ্লু নাম চলে আসে। তবে মজার বিষয় অধিকাংশ অণুজীব আমাদের উপকারে সার্বক্ষণিকভাবে লেগে আছে। এই লেখায় অণুজীবদের চমৎকার কিছু দিক তুলে ধরব। মাটিতে অবস্থিত অণুজীবরা জৈব বর্জ্যকে পচিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। একই সাথে মাটি ,   বায়ু ,   পানি আর জীবনের মাঝে নানা রাসায়নিক পদার্থের ভারসাম্য রক্ষা করে। কিছু অণুজীব সালোকসংশ্লেষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যা কি না জীবজগ