স্থির তড়িৎ (Electrostatics) এর গুরুত্বপুর্ন কিছু বিষয়
বিন্দু চার্জঃ চার্জিত বা আহিত বস্তুর আকার যখন খুবই ক্ষুদ্র হয় তখন ঐ বস্তুর চার্জকে বিন্দু চার্জ বলে।
কুলম্বের সুত্রঃ একটি নির্দিষ্ট মাধ্যমে দুটি বিন্দু চার্জের মধ্যে ক্রিয়াশীল আকর্ষন বা বিকর্ষন বলের মান চার্জদ্বয়ের গুণফলের সমানুপাতিক, চার্জ দুটির মধ্যবর্তী দূরত্বের বর্গের ব্যাস্তানুপাতিক এবং এই বল চার্জদ্বয়ের সংযোজক সরল রেখা বরাবর ক্রিয়া করে।
1C চার্জঃ সমধর্মী এবং সমান মানের দুটি চার্জকে শূন্য মাধ্যমে পরস্পর থেকে 1m দূরত্বে স্থাপন করলে এদের মধ্যে বিকর্ষন বলের মান যদি 9*109N হয় তবে ঐ চার্জ দুটির প্রত্যেকটিকে একক চার্জ বা 1C চার্জ বলে।
চার্জের নিত্যতাঃ চার্জের সৃষ্টি বা ধ্বংস নেই। চার্জের স্থানান্তর আছে; যেমন- কাচ দন্ডকে রেশমি কাপড় দিয়ে ঘষলে কাচদন্ড থেকে যে পরিমান ঋণাত্মক চার্জ স্থানান্তরিত হয় রেশমি কাপড়ে ঠিক সেই পরিমাণ ঋণাত্মক চার্জের আবির্ভাব হয়।
তড়িৎ মাধ্যমাঙ্ক বা পরা বৈদ্যুতিক ধ্রুবকঃ দুটি তড়িৎ চার্জের মধ্যে নির্দিষ্ট দূরত্বে শূন্যস্থানে ক্রিয়াশীল বল এবং ঐ দুটি চার্জের মধ্যে একই দূরত্বে অন্য কোনো মাধ্যমে ক্রিয়াশীল বলের অনুপাত একটি ধ্রুব সংখ্যা। এই ধ্রুব সংখ্যাকে ঐ মাধ্যমের তড়িৎ মাধ্যমাঙ্ক বলে। একে K দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
তড়িৎ ক্ষেত্রঃ কোনো একটি চার্জিত বস্তুর চারদিকে যে অঞ্চল জুড়ে তার প্রভাব বিদ্যমান থাকে অর্থাৎ অন্য কোনো চার্জে চার্জিত বস্তু আনলে সেটি আকর্ষন বা বিকর্ষন বল লাভ করে সেই অঞ্চলকে ঐ চার্জিত বস্তুর তড়িৎ বল ক্ষেত্র বা তড়িৎ ক্ষেত্র বলে।
প্রাবল্যঃ তড়িৎ ক্ষেত্রের কোনো বিন্দুতে একটি একক ধনাত্বক টেস্ট চার্জ স্থাপন করে সেটি যে বল অনুভব করে তাকে ঐ বিন্দুর তড়িৎ প্রাবল্য বলে।
আধান ঘনত্বঃ কোনো চার্জিত পরিবাহকের পৃষ্ঠের কোনো বিন্দুর চারদিকে একক ক্ষেত্রফলে বিদ্যমান চার্জের পরিমাণকে ঐ বিন্দুতে ঐ তলের চার্জের তলমাত্রিক ঘনত্ব বা আধান ঘনত্ব বলে।
বিভবঃ বিভব হলো চার্জিত বস্তুর বৈদ্যুতিক অবস্থা, যা নির্দেশ করে দেয় বস্তুটিকে অন্য কোনো চার্জিত বস্তুর সাথে বৈদ্যুতিক সংযোগে যুক্ত করলে তড়িৎ চার্জ প্রদান করবে না গ্রহন করবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন