প্রকৃত বন্ধুত্ব

প্রকৃত বন্ধুত্ব
:)

প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলছে। হঠাৎ এক পশলা গুলি ছুটে এল শত্রুপক্ষের দিক থেকে। এক সৈন্য কোন ভাবে লুকিয়ে পড়তে পারলেও কিছুটা দূরে থাকা তার বন্ধুর লুকিয়ে পড়া সম্ভব ছিল না। তাকে পড়ে যেতে দেখে ভয়ের শীতল স্রোত বয়ে গেল তার ভেতর। সে তার লেফটেন্যান্টের কাছে অনুমতি চাইল, তার বন্ধু সৈন্যেটির কাছে ফিরে যাওয়ার এবং তাকে ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য।
লেফটেন্যান্ট বললো, “তুমি যেতে পার। কিন্তু আমি মনে করি না এটা উচিত হবে কারন তোমার বন্ধু খুব সম্ভবত গুলি খেয়ে মারা গেছে এবং ওখানে গিয়ে তুমি নিজের জীবনকেও ঝুঁকির মুখে ফেলে দেবে”
সৈন্যটি এই উপদেশ শুনেও তার বন্ধুর কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিল। অনেকটা অলৌকিকভাবে সে শত্রুপক্ষের গুলি এড়িয়ে তার বন্ধুর কাছে পৌছে গেল এবং তাকে কাঁধে তুলে নিয়ে ফিরে আসতে সক্ষম হল।
যখন সে ফিরে এল, তখন অফিসার তার বন্ধুকে পরীক্ষা করল এবং দুঃখ ভারাক্রান্ত কন্ঠে বলল,
“আমি বলেছিলাম, তোমার ওখানে যাওয়া উচিত হবে না। তোমার বন্ধুটি মারা গেছে এবং তুমি নিজেও কিছুটা আহত হয়েছ।”
সৈনিকটি বলল, “আমার যাওয়া অর্থহীন ছিল না স্যার!”
“কিন্তু তোমার বন্ধুটি মারা গেছে। তুমি কিভাবে এটা বল যে, তোমার যাওয়াটা অর্থহীন ছিল না?”
“জী স্যার, কিন্তু আমি যখন তার কাছে পৌছালাম তখনও সে জীবিত ছিল এবং আমি তার শেষ কথা শোনার পরিতৃপ্তি পেয়েছি।”সে আমাকে বলেছিল, “জিম, আমি জানতাম তুমি আসবে।”

মূলকথাঃ প্রকৃত বন্ধু তারাই, গোটা পৃথিবী আমাদের হাত ছেড়ে দিলেও যারা আমাদের হাত কখনো ছাড়ে না। জীবনে এমন অনেক ঘটনা ঘটে, যেগুলো অর্থহীন নাকি গভীর অর্থবহ তা নির্ভর করে আমরা কিভাবে সেগুলোকে দেখি তার উপর। নিজের সবটুকু সাহসকে একত্রিত করে তাই করা উচিত যা আমাদের মন আমাদের করতে বলে। তা নাহলে হয়ত পরবর্তীতে সারাটা জীবন তা না করার আফসোস বয়ে নিয়ে বেড়াতে হবে।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গুরুত্বপুর্ন মৌলের নাম, প্রতীক, যোজনী, পারমাণবিক সংখ্যা ও আপেক্ষিক ভর

তাপহারী বিক্রিয়া কাকে বলে,

রক্ত কণিকার কাজ কী