মাইট্রোকন্ড্রিয়া এর কাজ কী,

শ্বসনে অংশগ্রহনকারী এ অঙ্গাণুটি বেনডা (Benda) ১৮৯৮ সালে আবিষ্কার করেন।
এটি দ্বিস্তর বিশিষ্ট আবরণী বা ঝিল্লী দিয়ে ঘেরা। ভিতরের স্তরটি ভিতরের দিকে ভাজ হয়ে থাকে। এদের ক্রিস্টি (Cristae) বলে।
ক্রিস্টির গায়ে বৃন্তযুক্ত গোলাকার বস্তু থাকে, এদের অক্সিজোম (Oxisome) বলে। অক্সিজোমে উৎসেচকগুলো সাজানো থাকে। মাইট্রোকন্ড্রিয়ার ভিতরে থাকে ম্যাট্রিক্স (Matrix) ।
জীবের শ্বসন কার্যে সাহায্য করা মাইট্রোকন্ড্রিয়ার প্রধান কাজ।
আমরা জানি শ্বসন ক্রিয়ার প্রধান ধাপ দুটি। এর প্রথম ধাপ গ্লাইকোলাইসিসের বিক্রিয়াগুলো মাইট্রোকন্ড্রিয়ায় ঘটে না।
তবে দ্বিতীয় ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ধাপ ক্রেবস চক্রের বিক্রিয়াগুলো এ অঙ্গানুর মধ্যেই সম্পন্ন হয়।  ক্রেবস চক্রে সর্বাধিক শক্তি উৎপন্ন হয়। এ জন্য মাইট্রোকন্ড্রিয়াকে কোষের শক্তি উৎপাদন কেন্দ্র বা পাওয়ার হাউস বলা হয়। এ শক্তি জীব তার বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে। কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া সকল উদ্ভিদ ও প্রাণী কোষে এদের পাওয়া যায়।
আমাদের Android Community তে যোগ দিন Facebook

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গুরুত্বপুর্ন মৌলের নাম, প্রতীক, যোজনী, পারমাণবিক সংখ্যা ও আপেক্ষিক ভর

তাপহারী বিক্রিয়া কাকে বলে,

প্যাসকেলের বলবৃদ্ধিকরণ নীতি,