ব্রণ হওয়ার কারণ
ব্রণের সমস্যায় আমাদের সবাইকেই কমবেশি ভুগতে হয়। কিন্তু যত যাই
করা হোক না কেন, কখনো
কখনো ব্রণের সমস্যা একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, কোনোভাবেই একে দমিয়ে রাখা যায় না।
দেখে নিন কি কি কারণে ব্রণের উৎপাত আপনাকে সহ্য করে চলতে হচ্ছে।
১) বংশগতি
এটা এমন একটা ব্যাপার যাতে আপনার কোনোই হাত নেই। আপনার পিতামাতার যদি ব্রণের সমস্যা থেকে থাকে তবে আপনার এবং আপনার ভাইবোনেরও ব্রণের ঝক্কি পোহাতে হতে পারে।
এটা এমন একটা ব্যাপার যাতে আপনার কোনোই হাত নেই। আপনার পিতামাতার যদি ব্রণের সমস্যা থেকে থাকে তবে আপনার এবং আপনার ভাইবোনেরও ব্রণের ঝক্কি পোহাতে হতে পারে।
২) মেন্সট্রুয়েশন
নারীদের মেন্সট্রুয়েশন বা পিরিয়ডের কয়েক দিন আগে ব্রণের উৎপাত হঠাৎ করেই বেড়ে যেতে পারে। এর কারণ হলো এ সময়ে অ্যান্ড্রোজেন নামক কিছু হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায় যার ফলে ত্বকের তৈলগ্রন্থি থেকে বেশি তেল বের হতে থাকে। এর ফলে দেখা দেয় অনেক বেশি ব্রণ।
নারীদের মেন্সট্রুয়েশন বা পিরিয়ডের কয়েক দিন আগে ব্রণের উৎপাত হঠাৎ করেই বেড়ে যেতে পারে। এর কারণ হলো এ সময়ে অ্যান্ড্রোজেন নামক কিছু হরমোনের পরিমাণ বেড়ে যায় যার ফলে ত্বকের তৈলগ্রন্থি থেকে বেশি তেল বের হতে থাকে। এর ফলে দেখা দেয় অনেক বেশি ব্রণ।
৩) বাজে আবহাওয়া
আবহাওয়া যখন আমাদের শরীর সহ্য করতে পারে না তখন ব্রণ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে মৌসুম পরিবর্তনের সময়টায় এটা হয়ে থাকে। অন্যরকম আবহাওয়ার এলাকায় ছুটি কাটাতে গেলেও এই সমস্যায় পড়তে পারেন আপনি।
আবহাওয়া যখন আমাদের শরীর সহ্য করতে পারে না তখন ব্রণ দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে মৌসুম পরিবর্তনের সময়টায় এটা হয়ে থাকে। অন্যরকম আবহাওয়ার এলাকায় ছুটি কাটাতে গেলেও এই সমস্যায় পড়তে পারেন আপনি।
৪) ওষুধের প্রভাব
অনেক সময়ে বিশেষ কোনো ওষুধ খাওয়া শুরু করার পর ব্রণ দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে দেখে নিন ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মাঝে ব্রণ বা অ্যাকনি হবার কথা আছে কিনা। দরকার হলে ডাক্তারের সাথে কথা বলে ওষুধ পরিবর্তন করে নিন।
অনেক সময়ে বিশেষ কোনো ওষুধ খাওয়া শুরু করার পর ব্রণ দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে দেখে নিন ওই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মাঝে ব্রণ বা অ্যাকনি হবার কথা আছে কিনা। দরকার হলে ডাক্তারের সাথে কথা বলে ওষুধ পরিবর্তন করে নিন।
৫) স্ট্রেস
অনেক সময়ে খুব দুশ্চিন্তা থেকে ব্রণ হতে পারে। লক্ষ্য করে দেখুন বড় কোনো ঘটনা যেমন অফিসের কোনও প্রেজেন্টেশন বা ইন্টারভিউ এর আগে আপনার ব্রণের পরিমাণ বেড়ে যায় কিনা। সেক্ষেত্রে দোষী হলো স্ট্রেস।
অনেক সময়ে খুব দুশ্চিন্তা থেকে ব্রণ হতে পারে। লক্ষ্য করে দেখুন বড় কোনো ঘটনা যেমন অফিসের কোনও প্রেজেন্টেশন বা ইন্টারভিউ এর আগে আপনার ব্রণের পরিমাণ বেড়ে যায় কিনা। সেক্ষেত্রে দোষী হলো স্ট্রেস।
৬) খাদ্যভ্যাস
কিছু কিছু খাবার ব্রণের কারণ হয়ে উঠতে পারে। যেমন দুগ্ধজাত খাবার, ক্যাফেইন, চিনি বা বাদাম। এসব খাবার আপনার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন বা কমিয়ে ফেলুন। এর বদলে বাড়িয়ে দিন শাকসবজি খাওয়া এবং গ্রিন টি পান, যাতে আপনার ত্বক সুস্থ হয়ে উঠবে।
কিছু কিছু খাবার ব্রণের কারণ হয়ে উঠতে পারে। যেমন দুগ্ধজাত খাবার, ক্যাফেইন, চিনি বা বাদাম। এসব খাবার আপনার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিন বা কমিয়ে ফেলুন। এর বদলে বাড়িয়ে দিন শাকসবজি খাওয়া এবং গ্রিন টি পান, যাতে আপনার ত্বক সুস্থ হয়ে উঠবে।
৭) ত্বকের রোমকূপ বন্ধ করে দেওয়া কসমেটিকস
মেকআপ করার জন্য আমরা যেসব কসমেটিকস ব্যবহার করি তাদের অনেকগুলোতেই থাকতে পারে এমন উপাদান যা ত্বকের রোমকূপ বন্ধ করে দেয়, ফলে তেল এবং ময়লা জমে তৈরি করে ব্রণ। যারা নিয়মিত ব্রণের শিকার হন তাদের উচিৎ এমন মেকআপ সামগ্রী ব্যবহার করা যাতে রোমকূপ বন্ধ না হয়।
মেকআপ করার জন্য আমরা যেসব কসমেটিকস ব্যবহার করি তাদের অনেকগুলোতেই থাকতে পারে এমন উপাদান যা ত্বকের রোমকূপ বন্ধ করে দেয়, ফলে তেল এবং ময়লা জমে তৈরি করে ব্রণ। যারা নিয়মিত ব্রণের শিকার হন তাদের উচিৎ এমন মেকআপ সামগ্রী ব্যবহার করা যাতে রোমকূপ বন্ধ না হয়।
৮) ঠিকভাবে মেকআপ না তোলা
লম্বা একটা দিনের শেষে অনেকেই ক্লান্তির দোহাই দিয়ে মেকআপ না তুলেই ঘুমিয়ে পড়েন। এতেও ত্বকে জমে যায় তেল এবং ময়লা আর ব্রণ দেখা দেয়।
লম্বা একটা দিনের শেষে অনেকেই ক্লান্তির দোহাই দিয়ে মেকআপ না তুলেই ঘুমিয়ে পড়েন। এতেও ত্বকে জমে যায় তেল এবং ময়লা আর ব্রণ দেখা দেয়।
৯) মেকআপ ব্রাশ পরিষ্কার না রাখা
মেকআপ করার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরণের ব্রাশ ব্যবহার করি আর ভুলে যাই যে এগুলোকেও পরিষ্কার রাখাটা জরুরী। নিয়মিত পরিষ্কার না করলে এসব ব্রাশে জমে যায় ময়লা এবং ব্যাকটেরিয়া যা ত্বকের বারোটা বাজিয়ে দিতে যথেষ্ট।
মেকআপ করার জন্য আমরা বিভিন্ন ধরণের ব্রাশ ব্যবহার করি আর ভুলে যাই যে এগুলোকেও পরিষ্কার রাখাটা জরুরী। নিয়মিত পরিষ্কার না করলে এসব ব্রাশে জমে যায় ময়লা এবং ব্যাকটেরিয়া যা ত্বকের বারোটা বাজিয়ে দিতে যথেষ্ট।
১০) ঘুমের অনিয়ম
ঘুম কম হওয়া বা ঘুমের অনিয়ম হওয়া থেকে শরীরের কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে বাড়ে স্ট্রেস আর দেখা দেয় ব্রণ।
ঘুম কম হওয়া বা ঘুমের অনিয়ম হওয়া থেকে শরীরের কর্টিসলের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে বাড়ে স্ট্রেস আর দেখা দেয় ব্রণ।
১১) আপনার চুলে কি ব্যবহার করছেন?
হেয়ারলাইনের আশেপাশে ব্রণের উপদ্রব দেখা গেলে আপনার চুলে ব্যবহার করা সামগ্রীর দিকে নজর দিন। অনেক সময়ে দেখা যায় হেয়ারজেল, সিরাম এমনকি শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার হতে পারে ব্রণের কারণ। এসব সামগ্রী ব্যবহারের পর একটা ভালো ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
হেয়ারলাইনের আশেপাশে ব্রণের উপদ্রব দেখা গেলে আপনার চুলে ব্যবহার করা সামগ্রীর দিকে নজর দিন। অনেক সময়ে দেখা যায় হেয়ারজেল, সিরাম এমনকি শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার হতে পারে ব্রণের কারণ। এসব সামগ্রী ব্যবহারের পর একটা ভালো ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
১২) আপনার কাপড় ধোয়ার ডিটারজেন্ট আপনাকে স্যুট করছে না
অনেক সময়ে ডিটারজেন্টের কিছু উপাদানের প্রতি অ্যালার্জি থাকে অনেকের। এসব ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে ত্বকে প্রতিক্রিয়া দেখা যায় ব্রণ হিসেবে। অনেক সময়ে সুগন্ধি-বিহীন ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে এই সমস্যা কমে যেতে দেখা যায়।
অনেক সময়ে ডিটারজেন্টের কিছু উপাদানের প্রতি অ্যালার্জি থাকে অনেকের। এসব ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে ত্বকে প্রতিক্রিয়া দেখা যায় ব্রণ হিসেবে। অনেক সময়ে সুগন্ধি-বিহীন ডিটারজেন্ট ব্যবহার করলে এই সমস্যা কমে যেতে দেখা যায়।
১৩) মুখ ধোয়ার ভুল
খুব বেশি ঘন ঘন অথবা খুব কম মুখ ধোয়ার ফলে ব্রণ হতে পারে। এর জন্য দিনে দুই-থেকে চারবার মুখ ধোয়ার অভ্যাস রাখুন।
খুব বেশি ঘন ঘন অথবা খুব কম মুখ ধোয়ার ফলে ব্রণ হতে পারে। এর জন্য দিনে দুই-থেকে চারবার মুখ ধোয়ার অভ্যাস রাখুন।
১৪) টুথপেস্ট
অনেকে মনে করেন টুথপেস্ট ব্যবহারের ফলে ব্রণ কমে যায়। আসলে কিন্তু টুথপেস্টই হয়ে উঠতে পারে ব্রণের কারণ। ঠোঁটের চারপাশে ব্রণের উপদ্রব দেখা দিলে বুঝতে হবে আপনার টুথপেস্ট দায়ী।
অনেকে মনে করেন টুথপেস্ট ব্যবহারের ফলে ব্রণ কমে যায়। আসলে কিন্তু টুথপেস্টই হয়ে উঠতে পারে ব্রণের কারণ। ঠোঁটের চারপাশে ব্রণের উপদ্রব দেখা দিলে বুঝতে হবে আপনার টুথপেস্ট দায়ী।
১৫) নোংরা বিছানা
বিছানার চাদর এবং বালিশের কভারে জমে যায় ধুলোবালি এবং ব্যাকটেরিয়া যা ব্রণের কারণ হতে পারে। যাদের ব্রণের সমস্যা আছে তারা প্রতি দুই সপ্তাহে অন্তত বিছানার চাদর এবং বালিশের কভার পরিবর্তন করুন।
বিছানার চাদর এবং বালিশের কভারে জমে যায় ধুলোবালি এবং ব্যাকটেরিয়া যা ব্রণের কারণ হতে পারে। যাদের ব্রণের সমস্যা আছে তারা প্রতি দুই সপ্তাহে অন্তত বিছানার চাদর এবং বালিশের কভার পরিবর্তন করুন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন