পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৫ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

bKash এর অভিনব প্রতারণা থেকে সতর্ক থাকুন

গত ৮ অক্টোবর আসরের নামাজের পরপরই আমার মোবাইল নম্বরে একটি কল এলো। অতি বিনয়ের সাথে ভদ্রলোক বললেন, ‘আমার নাম সাগর, আমার বাড়ি কুমারখালী কুষ্টিয়া। বিপদে পড়ে আপনাকে ফোন দিতে বাধ্য হয়েছি। আমার একজন কাস্টমারের কিছু টাকা আপনার এই নম্বরে ভুলক্রমে চলে গেছে। অনুগ্রহপূর্বক একটু চেক করুন।’ মেসেজ চেক করে বললাম, ‘না, আসেনি’। ভদ্রলোক বললেন, কষ্ট করে আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্টটি চেক করুন। আমি চেক করে বললাম, ‘আসেনি’। এবার বললেন, প্লিজ, একটু ভালো করে দেখুন, কত টাকা ছিল আর কত টাকা আছে, আবারো চেক করে বললাম, ‘ভাই, আমার একাউন্টে গত তিন দিনে কোনো টাকা আসেনি। পাঁচ হাজার ৩৬৫ টাকা ছিল। এখনো তা-ই আছে। এবার বললেন, ‘অনেক সময় মেসেজ দেরিতে আসে, যদি আসে কাইন্ডলি আমাকে জানাবেন।’ মাত্র দু’মিনিট পরই একটি মেসেজ এলো। চার হাজার ৫০০ টাকা আমার অ্যাকাউন্টে যোগ হলো। যথারীতি ভদ্রলোককে কল দিয়ে জানালাম। আমাকে চার হাজার ৪৪৫ টাকা পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানালেন। সাথে সাথে তাকে চার হাজার ৪৪৫ টাকা প্রেরণ করলাম। কিন্তু দেখলাম, আমার নিজস্ব অ্যাকাউন্টস থেকে চার হাজার ৬৪০ টাকা কেটে গেছে। বাকি আছে মাত্র ৬৬৫ টাকা। কল দিয়ে বললাম- ‘ভাই, টাকাটা তো আম

এসএমএস এর মাধ্যমে সিম পুনঃ নিবন্ধন করবেন যেভাবে, বিস্তারিত জেনে নিন

ছবি
প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি সবাই ভাল আছেন। বর্তমানে মোবাইল এ যোগাযোগ আমাদের জীবনের অপরিহার্য একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সংগত কারণেই মোবাইল ফোন ব্যবহারসংক্রান্ত বিষয়াদি সুরক্ষিত ও নিরাপদ রাখতে যথার্থ পদক্ষেপ গ্রহণ করা আবশ্যক। তাই সম্প্রতি সিম পুনঃ নিবন্ধনের বিষয়টি আবারো সামনে এসেছে। এরই লক্ষ্যে বাংলাদেশের সরকার সব মোবাইল ফোনের নিবন্ধন নিশ্চিত করার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে। দেখা যাচ্ছে যে, বেশিরভাগ ব্যবহারকারী সঠিক তথ্য না দিয়েই সিম নিবন্ধন করে ব্যবহার করছেন। ফলে এতে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার প্রশ্নে যেমন ঝুঁকি আছে, তেমনিভাবে অপরাধীরা আরো বেশি অপরাধপ্রবণ হয়ে ওঠাসহ নিজেদের পরিচয় গোপন করে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতি তৈরি করবে এমন সম্ভাবনাও বাড়ছে । সঠিক পরিচয় না দিয়ে রেজিস্ট্রেশান না করার কারনে দিন অপরাধ প্রবনতা বারছে। তাই নিজের এবং সমাজের সকলের ভালর কথা ভেবে আমাদের সঠিক তথ্য দিয়ে সিম রেজিস্ট্রেশান করা উচিত। দেখা গেছে একটি আইডি দিয়ে হাজার হাজার সিম কেনা হয়েছে। আসল মালিকের সিম কোনটা সেটা কেউ জানে না। তাই আপনি চাইলে এস এম এস এর মাধ্যমে আপনার সঠিক সিম কোনটা সেটা নিশ্চিত করতে পারেন। তানা করলে হয়ত

আশ্চর্য এক পদার্থ “গ্রাফিন” নিয়ে কিছু কথা !

ছবি
গ্রাফিন  হচ্ছে একটি এক পরমাণু পাতলা পদার্থ যেটি বিজ্ঞানীরা ২০০৪ সালে আবিষ্কার করেছিলো। বর্তমানে বুলেটপ্রুফ উপাদান হিসেবেও গ্রাফিন ব্যাবহার করা হচ্ছে। এটি এখন পর্যন্ত আবিষ্কৃত কঠিন পদার্থ যেমন পলিএমাইড এবং ইস্পাতের তুলনায় অধিক কার্যকর। অন্যান্য যেকোনো কঠিন পদার্থ যেমন ইস্পাতের তুলনায় ১০ গুন পর্যন্ত বেশী আঘাত সহ্য করতে পারে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের এক গবেষণায় এমন তথ্য পাওয়া গেছে। প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে সায়েন্স সাময়িকীত। গ্রাফিন আসলে কার্বনের আরেকটি রূপভেদ। এটি অত্যন্ত পাতলা, সরু এবং স্বচ্ছ পাতের মতো যার ফলে এটি খুব সহজে তাপ ও বিদ্যুৎ পরিবহন করতে পারে। এবং এটির গঠন একক পরমাণুর বিন্যাসে তৈরি মৌচাকের মতো। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ জে হওয়াং লি ও তার সহযোগীরা লেজার ব্যবহার করে সিলিকার তৈরি সূক্ষ্ম বুলেট পর্যবেক্ষণ করেন, যেগুলো গ্রাফিনের ১০ থেকে ১০০ স্তরের পাত ভেদ করেছিল। বুলেটবিদ্ধ হওয়ার আগে ও পরে গ্রাফিন গতিশক্তির স্তরগুলো তুলনা করে দেখেন তারা। ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ যন্ত্রের সাহায্যে দেখা যায়, গ্রাফিন আঘাত পাওয়ার পর কোনাকুনিভাবে প্রসারিত হয়ে বি

থ্রি-ডি(3D) বা ত্রিমাত্রিক সিনেমা

ছবি
আমরা দুই চোখে দেখি বলেই 3D দেখতে পাই ।এক চোখে কখনো 3D দেখা যায়না । আপনার এক চোখ বন্ধ করে আপনার একটি হাত নাক বরাবর কাছে দূরে নিন দেখবেন দূরত্ব সঠিক ভাবে পরিমাপ করতে পারছেন না । কিন্তু দুই চোখে তা খুব ভালভাবে পারছেন । আমাদের দুই চোখ মস্তিস্কে একই বস্তুর দুটি ছবি পাঠায়। ছবি দুটি সামান্য ভিন্ন । মস্তিস্কে ছবি দুটি একটির উপর আরেকটি আপতিত হয় । তখন বস্তুটি সম্পর্কে আ…মাদের 3D ধারণা স্পস্ট হয় । এই ধারনাকে কাজে লাগিয়ে 3D মুভি ও গেম বানানো হয় । আমাদের দুটি চোখের দুরত্ব যতটুকু ততটুকু দুরত্বে দুটি ক্যামেরা রেখে ভিডিও করা হয় [3D এনিমেশনেও দুটি ভিডিও থাকে ]। বাম পাশের ক্যামেরা দিয়ে করা ভিডিও হয় লালছে আর ডান পাশের ক্যামেরা দিয়ে করা ভিডিও হয় নীলছে । এরপর দুটি ভিডিও একই সাথে একই মনিটরে প্লে করা হয় । কিন্তু এটুকুতেই হয়ে গেল তা নয় । আসল কাজটাই বাকি রয়ে গেল । এখন দেখতে হবে কেমন দেখা যায় , আসলে 3D হয়েছে কি না । মনিটর অন করে দেখলাম কোথায় 3D , এতো 2D দেখা যাচ্ছে । ও, 3D চশমা পড়তে ভুলে গেছি । 3D চশমার বাম চোখের কাঁচ হয় লালচে আর ডান চোখের কাঁচ হয় নীলচে । ফলে বাম চোখে দেখা যায় শু

ডিজিটাল ক্যামেরা

ছবি
কয়েক বছর আগেও ক্যামেরায়  ছবি  উঠানোর জন্যে ক্যামেরার মধ্যে আমরা এক ধরনের ফিল্ম ব্যবহার করতাম । এইগুলোকে এনালগ ক্যামেরা বলা হয় । কিন্তু ডিজিটাল ক্যামেরায় কোনো ফিল্ম ব্যবহার করা হয় না ।এই জন্যে ডিজিটাল ক্যামেরাকে ফিল্মলেস ক্যামেরাও বলা হয় । ডিজিটাল ক্যামেরায় এক ধরনের অপটিক্যাল সেন্সর ব্যবহার করা হয় । অপটিক্যাল সেন্সর অনেকগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র আলোক-সংবেদনশীল ডায়োড  (ফটোসাইট) দিয়ে তৈরি। এই অপটিক্যাল সেন্সরের কাজ হল আমরা যেই বস্তুটির  ছবি  তুলব সেই বস্তু থেকে আসা আলোকে ইলেক্ট্রনিক চার্জে  রূপান্তরিত করা । বেশিরভাগ ডিজিটাল ক্যামেরায় ইমেজ সেন্সর হিসেবে  CCD(Charge Couple Device)  ব্যবহার করা হয়। আবার কিছু কিছু ক্যামেরায় ইমেজ সেন্সর হিসেবে  CMOS (Complementary Metal Oxide Semiconductor)  টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়।  CCD এবং CMOS এর ইমেজ সেন্সর পদ্বতি সম্পূর্ন ভিন্ন ।

বজ্রপাত কী?

বজ্রপাত প্রকৃতির সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য গুলোর মধ্যে একটি। এটি মানুষের পরিচিত সবচেয়ে ভয়ঙ্গকর প্রাকৃতিক ঘটনাগুলোর একটিও বটে। সূর্যপৃষ্ঠের তাপমাত্রার প্রায় সমান মাত্রার স্ফুলিঙ্গ আর ভয়াবহ গর্জন বহুকাল ধরেই মানুষের পিলে চমকানোর কাজটি দায়িত্বের সাথে পালন করে আসছে।। বজ্রপাতের এই ভয়ঙ্কর সৌন্দর্যের সাথে সাথে আমাদের মনে বিজ্ঞানের আরেকটি চিরন্তন রহস্যের জন্ম দেয়,বজ্রপাতের কারণ কি? ছোটবেলায় এই প্রশ্নের কারণ খুঁজতে গিয়ে আমরা বেশিরভাগ সময় এ উত্তর পেয়েছি, মেঘে মেঘে সংঘর্ষের ফলাফল হলো এই বজ্রপাত। এই ভুল ধারণার অবসান-ই লেখাটির উদ্দেশ্য। পানিচক্রের নিয়মে জলাধারের পানি বাষ্পীভূত হয়ে মেঘ আকারে আকাশে আশ্রয় নেয়। এই মেঘ-ই হল বজ্রপাতের ব্যাটারি। বজ্রপাতের জন্য দায়ী মেঘ বৈদ্যুতিক চার্জের আধারের মত আচরণ করে,যার উপরের অংশ পজিটিভ এবং নিচের অংশ নেগেটিভ চার্জে চার্জিত থাকে। মেঘ কিভাবে চার্জিত হয় তা নিয়ে বিজ্ঞানী মহলে বেশ মতভেদ থাকলেও সবচেয়ে প্রতিষ্ঠিত মতবাদ হচ্ছে,পানিচক্রে জলকণা যখন ক্রমশ উর্ধ্বাকাশে উঠতে থাকে তখন তারা মেঘের নিচের দিকের বেশি ঘনীভূত বৃষ্টি বা তুষার কণার সাথে সংঘর্ষের মুখোমুখি হয়। যার ফলে উপরের দি

সংখ্যার খেলা

সংখ্যাতত্ত্ব একটি অত্যন্ত মজার বিষয়।কিন্তু আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার কারণেই আমরা এই মজার বিষয় থেকে দূরে থাকি।আসুন কিছু নিছক মজার সংখ্যার মজার বিষয় নিয়ে মেতে উঠি। ১)যে সংখ্যার শেষে ৫ আছে তা কে বর্গ করার পদ্ধতিটা অনেকেরই জানা।এই সকল সংখ্যার শেষে ২৫ বসিয়ে ৫ এর আগে যেই সংখ্যাটা আছে তার পরের ক্রমিক সংখ্যার সাথে গুন করতে হবে।যেমন ৬৫ এর বর্গ = ৪২২৫। এখানে শেষ দুই সংখ্যা ২৫ এবং আগের দুই সংখ্যা ৪২ যা কিনা তার প্রথম সংখ্যা ৬ এবং তার পরের সংখ্যা ৭ এর গুণফল। তবে এটা কোন অলৌকিক বিষয় না।খেয়াল করুন যেকোন এই ধরণের সঙ্খ্যাকে ১০n+৫ আকারে লেখা যায়।এখানে (১০n+৫)^২=১০০*n^২+১০০n+২৫ =১০০n(n+1)+২৫।(রহস্য উন্মোচিত।:) ) ২)এবার কিছু গুন লক্ষ্য করুণ। ১১*১১= ১২১ ১১১*১১১=১২৩২১ ১১১১*১১১১=১২৩৪২৩১ ১১১১১*১১১১১=১২৩৪৫৪৩২১ ............................................. ............................................. ১১১১১১১১১*১১১১১১১১১=১২৩৪৫৬৭৮৯৮৭৬৫৪৩২১ কি মজার না।প্রত্যেক বার ই কি সুন্দর প্যাটার্ন এর সংখ্যা পাওয়া যাচ্ছে।এর রহস্য আসুন উন্মোচিত করা যাক। চলুন ফিরে যায় ছেলেবেলার গুণ করার পদ্ধতিতে। ১ ১ ১

পানির নিচে রহস্য

ছবি
মানুষ তো জন্মগতভাবে সুন্দরের পূজারি আর তার সঙ্গে যদি থাকে রহস্য ,   তাহলে তো কথাই নেই। মানুষ সৌর্ন্দয আর রহস্য দুটোই ভালোবাসে। পানির নিচের রহস্য নিয়ে মানুষের মনে আগ্রহের কমতি নেই। কোন কোন প্রাণী বাস করে ,   কী কী আছে ওখানে ?   আরো কত কি ?   ভেবে দেখুন তো ,   যদি একটি শহরই খুঁজে পান এ পানির ভেতর ,   কী রকম বিস্ময় আর আগ্রহ তৈরি হবে। মানুষের তিলে তিলে গড়ে তোলা কিছু সুন্দর শহরই এখন পানির নিচে আরো সৌন্দর্যবর্ধন করে চলেছে। আকর্ষণ কেড়ে নিয়েছে মানুষের — জাপানের ইয়োনাগুনি স্তম্ভ                                                         বিশেষজ্ঞদের মনে এখনো প্রশ্ন আছে ,   ইয়োনাগুনি স্তম্ভটি কি মানুষের তৈরি ,   নাকি প্রাকৃতিকভাবে সৃষ্ট এ শক্তিশালী স্তম্ভের পিরামিডটি মনুষ্য সৃষ্ট ,   এটা বিশ্বাস করতেও কষ্ট হচ্ছে অনেকের। পানির নিচে প্রায় ২৫০ ফুট নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে এটি। যদি এটি সত্যিই মনুষ্য সৃষ্ট হয় ,   তাহলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা ,   খ্রিস্টের জন্মেরও প্রায় ১০ হাজার বছর আগে তৈরি এ ইয়োনাগুনি। ভারতের দেবভূমি দ্বারকা ভারতের সপ্তম পুরনো শহর দ্বারকা। ইতিহাস বলছে ,   কৃষ্

বাংলাদেশের সবচেয়ে দুর্লভ ছবি

ছবি
মহান! দুই নেত্রী একসাথে,