এক্সরে,




এক্স-রে  কি?
এক্স-রে  এক ধরনের তড়িৎ চৌম্বকীয় তরঙ্গ, যা সরলরেখা বা সোজা পথে গমন করে। সাধারণ আলোর জন্য অস্বচ্ছ পদার্থ যেমন কাঠ, পেশী, পোশাক, ইত্যাদির মধ্য দিয়ে এক্স-রে  গমন করতে পারে। তবে ক্যান্সার কোষ, ধাতু, হাড় বা এ জাতীয় পদার্থের মধ্য দিয়ে এক্স-রে  যেতে পারে না। এক্স-রে -এর এ ধর্মটিই ব্যবহার করা হয় চিকিৎসা বিজ্ঞানে।  

যেভাবে কাজ করে
এক্স-রে  টিউব থেকে এক্স-রে  নির্গত হয়। অপর প্রান্তে এক্স-রে  ফিল্ম বা কম্পিউটারাইজড সেন্সর রাখা হয়। এ দুয়ের মাঝে রোগীকে রেখে এক্স-রে  চিত্র নেয়া হয়।

·         হাড়, ধাতু বা পাথর জাতীয় বস্তু সাদা ছায়া তৈরি করে।
·         বায়ুপূর্ণ এলাকা কালো ছায়া তৈরি করে।
·         পেশী, চর্বি এবং তরল ধূসর ছায়া তৈরি করে।

ব্যবহার
সাধারণত  দূর্ঘটনায় আঘাত পেলে হাড় ভেঙেছে কিনা বা কতটুকু ভেঙেছে সেটা নির্ণয়ে এক্স-রে  করা হয়। এছাড়া ক্যান্সার নির্ণয়, পেটে পাথরের অবস্থান নির্ণয় ইত্যাদি ক্ষেত্রে এক্স-রে  করা হয়।

প্রস্তুতি
·         শরীরের কোন অংশের এক্স-রে  করা হবে তার ওপর নির্ভর করে রোগীকে এক্স-রে  টেবিলে রাখা হয়। পেটের এক্স-রে  করা হলে খালি পেটে করার প্রয়োজন হতে পারে।
·         অলংকার, তাবিজ বা এ জাতীয় ধাতক পদার্থ এক্স-রে  ইমেজ তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে। কাজেই এক্স-রে  করার সময় এগুলো পরা যায় না।
·         সূতি কাপড় পরে এক্স-রে  করতে হয়।
·         এক্স-রে  চিত্র নেবার সময় শ্বাস প্রশ্বাস বন্ধ রাখতে বলা হতে পারে। এছাড়া এ সময় নড়াচড়া করা যায় না।
·         গর্ভাবস্থায় এক্স-রে  ক্ষতিকর হতে পারে। আগে থেকে বিষয়টি চিকিৎসককে জানানো উচিত।

ঝুঁকি
এক্স-রে  পুরোপুরি ঝুঁকিমুক্ত পরীক্ষা নয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে শরীর নিজে থেকেই এক্স-রে  জনিত ক্ষতি পুষিয়ে নয়। অতিরিক্ত মাত্রায় এক্স-রে -এর কারণে ত্বকে ক্যান্সার হতে পরে, গর্ভের ভ্রুণের ক্ষতি হতে পারে, ডিম্বাশয় বা শুক্রাশয়ের ক্ষতি হতে পারে। কাজেই চিকিৎকের পরামর্শ ছাড়া এক্স-রে  করা উচিত নয়।
রোগী এবং এক্স-রে  কর্মী ছাড়া অন্যদের এক্স-রে  কক্ষ থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গুরুত্বপুর্ন মৌলের নাম, প্রতীক, যোজনী, পারমাণবিক সংখ্যা ও আপেক্ষিক ভর

তাপহারী বিক্রিয়া কাকে বলে,

রক্ত কণিকার কাজ কী