আপনি জানেন কি মুদ্রা কিভাবে এলো ?
কেমন আছেন আপনারা সবাই? নিশ্চই ভালো, তবে
আজকাল টাকা পয়সা ছাড়া কি ভালো থাকা যায়? যেখানেই তাকাই শুধু টাকা আর
টাকা। তাইতো আপনাদের ভালো থাকার জন্য আজকে আপনাদের জানাবো কিভাবে এলো মুদ্রা…………
মুদ্রা
বলতে সাধারণত বোঝায় সরকার যে টাকা পয়সার প্রচলন করেন আর যা দিয়ে আমরা
জিনিস পত্র কিনতে পারি। আজকের দিনে মুদ্রা হলো ব্যবসা-বাণিজ্যের ভিত্তি। সভ্যতার
আদি সময়ে যখন টাকা পয়সা কষা হতো না, তখন চালু ছিল বিনিময় প্রথা।
বিনিময় প্রথার অসুবিধা বিস্তর। তখন মানুষ তার সুবিধার জন্য সোনা রুপার বাট ব্যবহার
করতে আরম্ভ করে। কিন্তু সোনা রুপা কতটা খাটি তা জানতে অসুবিধা হতো। ধারণা করা হয়
৭০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে লিডিয়ার (বর্তমান তুর্কীতে) রাজা গাইজেস ইলেকট্রাম নামে এক
মিশ্র ধাতুর টাকা পয়সার প্রচলণ করেন। শতকরা ৭৫ ভাগ হতো সোনা আর ২৫ ভাগ হতো রুপা
এবং দেখতে ছিল বরবটির মতো। গ্রিকরা এর সন্ধান পেয়ে নিজেদের দেশেও ব্যবহার আরম্ভ
করে। এর অনেক পরে সোনা রুপার সঙ্গে সঙ্গে তামার পয়স্ কড়ি চালু হয়। টাকা পয়সার
প্রচলন হওয়ায় যেমন বিনিময় প্রথা দূর হলো তেমন নহদ পয়সা বয়ে বেড়ানোর অসুবিধাও আরম্ভ
হলো। এর ফলে কাগজের টাকা মানে নোট দেখা দিল। চীন দেশেই আরম্ভ হয় ১১৯
খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ। একটা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে গ্যারান্টি দিয়ে এ নোট বাজারে
ছাড়া হতো। বর্তমানকালে স্টকহোলমের ব্যাংক অভ সুইডেন প্রথম নোট চালু করে জুলাই, ১৬৬১ খ্রিষ্টিাব্দে। এখন এমনি টাকা পয়সার সঙ্গে চেকও চলছে। ভারতবর্ষে
শেরশ্হ সুরীর রাজত্বকালে প্রথম নোট ছাপানো হয়েছিল। আমাদের বর্তমানে ধাতব মুদ্রা ৮
টি আর কাগজ মুদ্রা ৯ টি।
প্রিয়
বন্ধুরা আপনি যদি এরকম আরো তথ্য পেতে চান তাহলে আমাদের ফেসবুক পেজে লাইক দিন।আপনাদের
অনুপ্রেরণাই আমাদের আরো পোষ্ট লিখতে সহায়তা করবে ।আর ভাল লাগলে কমেন্ট এবং শেয়ার
করতে ভুলবেন না ।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন