মেডিক্যাল সাইন্স
চিকিৎসা ক্ষেত্রে পদার্থ বিজ্ঞানের অবধান
আমাদের জিবনের প্রতিটি
ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের
অবধান অপরিসীম, নিম্নে চিকিৎসা ক্ষেত্রে পদার্থ বিজ্ঞানের অবধান
তুলে ধরা হলো,
1. এক্সরে (Xray):- এক্সরে হলো এক ধরণের তাড়িৎ চৌম্বক বিকিরণ, এক্সরের তরঙ্গ দৈর্ঘ্য সাধারণ আলোর তরঙ্গ দৈর্ঘ্য এর চেয়ে অনেক কম, এই রশ্মির তরঙ্গ দৈর্ঘ্য 10-10m এর কাছাকাছি, ১৮৯৫
সালে উলহেমলোম রন্টজেন এক্সরে আবিষ্কার করেন, রঞ্জন
রশ্মির অপরনাম এক্সরে,
Xray |
এক্সরের ব্যবহারঃ- এক্সরে নানা কাজে ব্যবহার করা যায়, রোগ নির্ণয়ের জন্য এক্সরের গুরুত্ব
অপরিসীম,
I. হাড়ের ফাটল, স্থানচ্যুত
হাড়, ভেঙ্গে যাওয়া হাড় ইত্যাদি এক্সরের সাহায্যে খুব সহজেই নির্ণয় করা যায়,
II. এক্সরের সাহায্যে পিত্তথলি ও কিডনির পাথরকে সনাক্ত
করা যায়,
III. এক্সরের সাহায্যে অন্ত্রের প্রতিবন্ধকতা সনাক্ত
করা যায়,
2. আল্ট্রাসনোগ্রাফি (altrasonography):- আল্ট্রাসনোগ্রাফি হলো এমন একটি প্রক্রিয়া যা উচ্চ
কম্পাঙ্কের শব্দের প্রতিফলনের ওপর নির্ভরশীল, রোগ
নির্ণয়ের জন্য যে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হয় সেই শব্দের কম্পাঙ্ক 1-10 মেগাহার্জ হয়ে থাকে,
ultrasonography |
আল্ট্রাসনোগ্রাফির বযবহারঃ- আল্ট্রাসনোগ্রাফি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবহার
লক্ষ্য করা যায় স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিজ্ঞানে,
I. আল্ট্রাসনোগ্রাফির সাহায্যে ভ্রুনের আকার, পূর্ণতা, স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক অবস্থান জানা যায়,
II. প্রসূতি বিদ্যায় এটি দ্রুত, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য কৌশল,
III. আল্ট্রাসনোগ্রাফির সাহায্যে জরায়ুর টিউমার এবং
অন্যান্য পেলভিক মাসের উপস্থিতিও সনাক্ত করা যায়,
3. ইসিজি (ECG):- ইসিজি হলো ইলেক্ট্রোকার্ডিওগ্রাম (Electrocardiogram) এর সংক্ষিপ্ত রূপ, ইসিজি
এমন এক রোগ নির্ণয় পদ্ধতি যার সাহায্যে নিয়মিতভাবে কোন ব্যক্তির হৃদপিন্ডের
বৈদ্যুতিক এবং পেশিজনিত কার্যকলাপ নির্ণয় করা যায়, হৃদপিন্ডের
যে সকল অস্বাভাবিক প্রকৃতি ইসিজির মাধ্যমে সনাক্ত করা যায়ঃ-
I. হৃদপিন্ডের অস্বাভাবিক স্পন্দন,
II. হার্ট অ্যাটাক যা সম্প্রতি বা কিছুদিন পূর্বে
হয়েছে,
III. হৃদপিন্ডের আকার বড় হওয়া,
@ফাহিম রায়হান
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন